ফুলবাড়ীতে এসি ল্যান্ডের পদশূন্য চরম ভোগান্তিতে জমিজমা ক্রেতা-বিক্রেতারা

প্লাবন শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সহকারি কমিশনার (ভূমি) পদটি দীর্ঘদিন থেকে শূন্য থাকায় জমিজমার খাজনা খারিজ, নামজারিসহ ‘খ’ তফসিলের অর্পিত সম্পত্তি নিস্পত্তি নিয়ে ভূমি মালিকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি সহকারি কমিশনার (ভূমি) পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার, অফিস সহকারি ও পিয়নের পদও শূন্য রয়েছে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে তিনজন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এখানে কিছুদিন কাজ করার পরপরই চলে গেছেন অন্যত্র বদলী হয়ে। ফলে একই সময়ে তিনজন সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর শূন্য পদে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে চারজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে। বদলী হয়ে যাওয়া সহকারি কমিশনারদের মধ্যে এবিএম রওশন কবির ২০১৪সালের ৩০জানুয়ারি এখানে যোগদান করলেও একই বছরের ৪ডিসেম্বর বদলী হয়ে চলে যান। পদটি শূন্য হলে তৎকালীন ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান ২০১৪ সালের ৪ডিসেম্বর থেকে ২০১৫সালের ৩০জুলাই তারিখ পর্যন্ত অরিক্তি দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বদলী হেেল ইউএনও রাহেনুল ইসলাম একই বছরের ৩০জুলাই থেকে ২৩আগস্ট পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। মো. মহসিন মৃধা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে একই বছরের ৮সেপ্টেম্বর যোগদান করে ২০১৬সালের ১আগস্ট বদলী হয়ে চলে যান। ইউএনও মো. এহেতেশাম রেজা ১আগস্ট থেকে ১সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। একই বছরের ১সেপ্টেম্বর তারিখে সহকারি কমিশনার (ভূমি) হিসেবে যোগদান করেন মো. নাসিম আহম্মেদ। তিনিও পদোন্নতি নিয়ে ইউএনও হিসেবে একই মাসের ৭তারিখে চলে গেলে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে ইউএনও মো. এহেতেশাম রেজা। ২০১৭সালের ৯ সেপ্টেম্বর তারিখে তিনিও বদলী হলে একই তারিখে ইউএনও হিসেবে দায়িত্ব নেন মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী। নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি এসি ল্যান্ডের দায়িত্ব তাকেই পালন করতে হচ্ছে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাদের বাড়ির ভিটেমাটি ‘খ’ তফসিলভূক্ত হওয়ায় সেটি অবমুক্ত করতে দিনের পর দিন অফিসে ঘুরেও কর্মকর্তা না থাকায় জমিজমা অবমুক্ত করা যাচ্ছে না। ফলে ব্যাংক ঋণও নবায়ন করা যাচ্ছে না।
উপজেলার খড়মপুর গ্রামের কৃষক নূরে আলম সিদ্দিকী, আলাদিপুর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য তারাপদ রায় ও উত্তর রঘুনাথপুর গ্রামের মহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়ের বিয়েসহ পরিবারের প্রয়োজনে জমিজমা কেনাবেচা করতে গিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কর্মকর্তা না থাকার কারণে জমিজমার নামজারি, খাজনাখারিজ না হওয়ায় জমিজমা বেচাকেনাও যাচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুস সালাম চৌধুরী বলেন, জনগণের ভোগান্তি দুর করতে সাধ্যমত তিনি নিজেই ভূমি অফিসের খাজনাখারিজসহ অন্য কাজগুলো করে দিচ্ছেন। সহকারি কমিশনার (ভূমি) পদে একজনকে দেওয়ার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। #

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ