বাউল শিল্পি অনুপম’র গানে মাতোয়ারা রাঙ্গুনিয়ার হাজারোও দর্শক

জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া : বাংলা সংস্কৃতির একটি অন্যতম ধারা বাউল গান। বাউল গানের মাধ্যমে দেহতত্ত্ব, কৃষ্ণের লীলা কাহিনী, রাধা রানীর বিচ্ছেদ, বাংলার রুপ প্রকৃতি ইত্যাদি বর্ননা করেন শিল্পি তার নিজস্ব গায়কী ও ঢংয়ে। ঢোল, করতাল, খমক, বাঁশি প্রভৃতি যন্ত্র সংগতে এই গানটি দর্শক শ্রোতার হ্রুদয়কে পুলকিত করে। তেমনি এক চট্রগ্রামের নন্দিত বাউল শিল্পি অনুপম দেবনাথ পাভেলের অনবদ্য পরিবেশনায় মাতোয়ারা হয়েছেন রাঙ্গুনিয়ার হাজারোও শ্রোতা। গত ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি রাঙ্গুনিয়া শান্তিনিকেতন সংসঙ্গ কমপ্লেক্সের আয়োজনে ২ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানমালার ২য় দিনে বাউল অনুপম দেবনাথ পাভেল প্রায় ২ ঘন্টা ব্যাপি তাঁর পরিবেশনায় উপস্হিত শ্রোতাদের বিমোহিত করেন।
“প্রানের ঠাকুর শ্রী অনুকুল, তুমি জীবের মূল” – এই গানটির মাধ্যমে তিনি তাঁর পরিবেশনা শুরু করেন। এরপর তিনি একে একে পরিবেশন করেন ” গুরু দোহায় তোমার মনটি আমার নাওনা সুপথে, ” ধন্য ধন্য বলি তারে”, “মিলন হবে কত দিনে”, রাধা নামে কি আনন্দ ডুবলে জানা যায়”, জয় রাধা রাধা বলে, ডুবলে পরে রতন পাবি “, মনে বাবলা পাতার কস লেগেছে, কে আনিলোরে কোথায় ছিলোরে মধুমাখা কৃষ্ণ নাম সহ ২০ টির অধিক বাউল গান পরিবেশন করে তার পরিবেশনা শেষ করেন। তিনি কখনোও রাধা বিচ্ছেদ কখনোও কৃষ্ণ রস তত্ব, লালনের আধ্যত্মিক গান আবার কখনোও দেহতত্ত্বের গানে উপস্হিত শ্রোতাদের অকুন্ঠ প্রশংসা অর্জন করেন।
শিল্পির সাথে বাঁশীতে চট্রগ্রামের নন্দিত বংশী বাদক প্রানেশ্বর ভট্রাচার্য্য, বাংলা ঢোলে মনু দাশ এর সঙ্গত এক অপূর্ব দূত্যনায় ফুঁটে উঠেছে। এছাড়া তবলা ও খমকে ঝুলন দত্ত, কিবোর্ডে অন্তু দেবনাথ এবং অক্টোপ্যাড এ অভিজিত দাশ যথাযথ সহায়তা করে অনুষ্ঠানকে প্রানবন্ত করেছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শ্রীকান্ত চৌধুরী ও ধনঞ্জয় দাশ। অনেক দিন মনে থাকবে রাঙ্গুনিয়ার শ্রোতাদের এই বাউল গানের আসর।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ