বাজিতপুরসহ পাঁচ উপজেলায় পানি উন্নয়ন র্বোডের স্লুইচ গেইট, বেরিবাধ ও খাল খনন চলছে

বাজিতপুর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতা ঃ কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলাসহ পাঁচটি থানার বাংলাদেশ সরকারের পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জাইকা প্রজেক্টের প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে স্লুইচ গেইট, বেরিবাধ ও খাল খনন কর্মসূচি গত এক বছর ধরে এগিয়ে চলছে। জানা যায়, হাওরের বিভিন্ন নদীর গতিপথ নাব্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় নদীর নাব্যতা সঠিক রাখার জন্য বর্ষাকালে অতি বন্যা যাতে না হয় তার জন্য খাল খনন কর্মসূচি ও কৃষকের জমির ফসল হানি না হওয়ার জন্য সরকার এ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। গতকাল সোমবার সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুর বেরিবাধ নিমার্ণ, কৈলাগের হাওরে স্লুইচ গেইট প্রায় সমাপ্তির পথে রয়েছে। নিকলি উপজেলার গুরুই ইউনিয়নের বেরিবাধ নির্মাণ, দুটি স্লুইচ গেইট নির্মাণ, ছাতিরচরের হাওরের দুটি স্লুইচ গেইট, খাল খনন, নিকলি সদর ইউনিয়নের হাওরে বেরিবাধসহ এসব উপজেলার ১০-১২ টি স্লুইচ গেইট, ৮০ কিলোমিটার বেরিবাধ নির্মাণের কাজ এই পর্যন্ত অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে বলে জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে। সূত্রটি জানায়, প্রতি বছর আগাম বন্যার কারণে হাওরে কৃষকের লক্ষ লক্ষ বোরো জমির ফসল নষ্ট হয়ে যায়। এতে কয়েক হাজার কোটি টাকার ফসল কৃষককে ক্ষতি গুনতে হয়। কৃষককে বাচাঁনোর জন্য সরকার গত ২০১৩-১৪ সনে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এই প্রকল্পের কাজ ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলবে এবং সেই বছরে শেষ হওয়ার ধারণা করা হচ্ছে। বাজিতপুর উপজেলার হুমাইপুুর বেরিবাধ প্রকল্পের সভাপতি শংকর দাস জানান, এ হাওরের প্রায় দেড় কিলোমিটার বেরিবাধ নির্মাণের জন্য ১২ লক্ষ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। বর্তমানে এই প্রকল্পের ৫০ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। কিশোরগঞ্জ- ৫ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আফজাল হোসেন জানান, বাজিতপুর নিকলির প্রায় ৫ লাখ মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য তার সরকার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে কৃষকের ভাগ্য উন্নয়ন ও জড়িত রয়েছে। কিশোগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম গতকাল সোমবার জানান, হাওরের কৃষকের আগাম বন্যা হতে বাচাঁনোর জন্য সরকার এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকের জীবন যাপন পরিবর্তনের জন্য এবং গোয়াল ভরা গরু ও শস্যে ভরা ধানের জন্য সরকার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ