কোমলমতি শিশুরা ট্রাফিক পুলিশের বিবেককে নাড়া দিয়েছে: ডিএমপি কমিশনার
নিউজ ডেস্ক:
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, কোমলমতি শিশুরা আমাদের ট্রাফিক পুলিশের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। তাদের বার্তা যৌক্তিক ছিল। ওদের দাবিকে সামনে রেখেই ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চলমান ট্রাফিক সপ্তাহে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠাননির্বিশেষে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গত ছয় দিনে বিভিন্ন যানবাহনের বিরুদ্ধে ৫২ হাজার ৪১৭টি যানবাহন, ১১ হাজার ৪০৫ চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফিটনেস নেই—এমন ৫৫৭ যান ডাম্পিং করা হয়েছে। তিন কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কোনোভাবেই সড়কের শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে দেওয়া যাবে না।
শনিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।
শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে যারা নাশকতা করেছে, যারা গুজব ছড়িয়ে দেশকে অশান্ত করা চেষ্টা করেছে তাদের চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন আছাদুজ্জামান মিয়া। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, অনেককে আটক করা হয়েছে। তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, আপনারা অনেক তথাকথিত দায়িত্বশীল নেতার অডিও-ভিডিও রেকর্ড শুনেছেন। এমন আরও কয়েকজন তথাকথিত দায়িত্বশীল নেতার অডিও রেকর্ড পুলিশের হাতে রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনে নিজেদের লোকজন অনুপ্রবেশ করিয়ে ধংসাত্মক পরিবেশ তৈরি করার অপচেষ্টা সেসব তথাকথিত দায়িত্বশীল নেতার অডিওতে উঠে এসেছে। যারা এসব ধরনের ইস্যুকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীদের সনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, অতীতেও সাংবাদিকরা বিভিন্ন সময় নানাভাবে নিগৃহীত হয়েছেন, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা সবসময় কর্মক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করি। সাংবাদিকদের উপর হামলার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা মামলা নেবো এবং আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরেও কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে আমরা অনুসন্ধান করছি, তাদের পরিচয় সনাক্ত করার বিষয়ে তদন্ত চলছে বলেও জানান ডিএমপি কমিশনার।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাত দিনের ট্রাফিক সপ্তাহ আজ শেষ হচ্ছে। তবে ট্রাফিক সপ্তাহ আরও তিন বাড়িয়ে ১৪ আগস্ট করা হয়েছে। ট্রাফিক সপ্তাহে আইন প্রয়োগ ও শৃঙ্খলা ফেরানোর ক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলে তিনি মনে করেন। এটা বেগবান করার জন্য আরও তিন দিন সময় বাড়ানো হচ্ছে। এতে আইন ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।