জেলে বড় হওয়া কালা পাহাড় কোরবানীর জন্য প্রস্তুত
আলী রেজা সুমন:
কালা পাহাড় নামের ষাঁড়টির জন্ম জেল সুপারের বাসভবনে। বয়স ৩ বছর ২ মাস। শান্ত প্রকৃতির শাহী ওয়াল কালা পাহাড় কোরবানির জন্য প্রস্তুত। তবে জেল সুপারের বাসভবন চত্বরের চার দেয়ালের বাইরে যায় না কালা পাহাড়। তাই কালা পাহাড়ের মালিক জেল সুপার চান না ষাঁড়টি বাইরে বিক্রি হোক। তিনি মনে করেন বাসভবন চত্বরেই বিক্রি হবে ষাঁড়টি। সুদর্শন কালা পাহাড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ৮ লাখ টাকা। কিশোরগঞ্জ কারাগারের সুপার মো. বজলুর রশীদের বাসভবন কারাগার চত্বরে।
এর পাশ ঘেষেই গরুর খামার। জেল সুপার বজলুর রশীদ তার বাসভবনের কাছে ব্যক্তিগতভাবে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার। এখানেই জন্ম শাহী ওয়াল কালা পাহাড়ের। তার খামারে বর্তমানে দুটি ষাঁড়, তিনটি গাভি ও দুটি বাছুর রয়েছে। কালা পাহাড় তার খামারের সবচেয়ে বড় এবং দৃষ্টিনন্দন। তাই কালা পাহাড়কে ঘিরে সবার আগ্রহ একটু বেশি। অনেকে ষাঁড়টি দেখতে আসছেন। দরদামও করছেন কেউ কেউ। কালা পাহাড়ের ওজন ২৭ মণ ৩৩ কেজি। মঙ্গলবার ১১টার সময় কিশোরগঞ্জ কারাগার চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, জেল সুপারের বাসা সংলগ্ন একটি টিন ঘরে কালা পাহাড়কে গোসল দিচ্ছে এক কর্মচারী। জেল সুপারের গ্রামের বাড়ীর এক ব্যক্তি এটির সার্বক্ষণিক পরিচর্যা করেন। খামারে রয়েছে উন্নত প্রজাতির আরও দুটি গাভি।
এগুলোর এখনো দুধ দেয়ার সময় হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৫ সালের প্রথম দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার হিসেবে যোগ দেন মো. বজলুর রশীদ। তখন কারাগার চত্বরে নিজের বাসভবনে তিনি একটি গরুর খামার গড়ে তোলেন। এ থেকে বিপুল পরিমাণ আয়ও করেন তিনি। গত বছর তার খামার থেকে একটি গাভি বিক্রি করেছেন ১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। জেল সুপার মো. বজলুর রশীদ জানান, ২০০৭ সালে ঝালকাঠি কারাগারে থাকার সময় থেকে তিনি গরুর খামার করছেন। বজলুর রশীদ বলেন, গরু পালন আমার শখ।
ওদের সঙ্গে সময় কাটাতে ভালো লাগে। পাশাপাশি গরু পালনে লাভও হয়। খামারের গরুর গোবর কারাগারের ভেতরে সবজি বাগানে জৈব সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়। কালা পাহাড় আমার খুবই প্রিয় উল্লেখ করে জেল সুপার বলেন, সামনের কোরবানির ঈদে বিক্রির জন্য কালো পাহাড়কে প্রস্তুত করা হয়েছে। কালো পাহাড়কে ৮ লাখ টাকায় বিক্রি করা হবে। আগ্রহি ক্রেতাগণ ইচ্ছে করলে নিন্মোক্ত নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন ০১৬৮৪৯৩৪৯০৬। এখন পর্যন্ত দাম উঠেছে সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
তবে কালা পাহাড়কে কোরবানির হাটে তোলা হবে না। খামার থেকেই বিক্রি করা হবে। আর কালা পাহাড় বাইরে বিক্রি হোক আমি তা চাই না। এখানকার ভেতরের কোনো এক বাসিন্দা কালা পাহাড় কিনবেন বলে আমার বিশ্বাস।