এ রকম সাহসী পুলিশ অফিসার আমি দেখিনি
মুহাম্মদ কাইসার হামিদ, কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ
এ রকম সাহসী পুলিশ অফিসার আমি দেখিনি, সাংবাদিকদের সাথে এভাবে মনের কথা ব্যক্ত করলেন সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে প্রাণে বেঁচে আসা আনিসুর রহমান (৪৫) নামে এক ভুক্তভোগী। তিনি বলেন, বুধবার ( ২৪অক্টোবর) দিবাগত রাত ২ টার দিকে ভৈরব-ময়মনসিংহ আঞ্চলিক সড়কে ভৈরব থেকে প্রাইভেটকার যোগে কিশোরগঞ্জ যাওয়ার সময় কুলিয়ারচর উপজেলাস্থ ছয়সূতী বক্তরমারা ব্রীজ সংলগ্ন পৌঁছা মাত্র ৯-১০ জন সশস্ত্র ডাকাত তার প্রাইভেট কারের সামনে গাছ ফেলে গতিরোধ করে প্রথমে গাড়ি ভাংচুর করে ড্রাইভারকে মেরে আহত করে পরে তাদের নিকট থাকা জিনিসপত্র ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় রাস্তায় কর্তব্যরত কুলিয়ারচর থানার এএসআই শেখর আহম্মদ বাবুল ফিল্মী স্টাইলে ঘটনাস্থলে পৌঁছে জাকির (৩০) নামে এক দূর্ধর্ষ ডাকাতকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রামদাসহ আটক করে। ধস্তাধস্তির সময় ডাকাতের হামলায় ওই পুলিশ অফিসার আহত হয়। পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে ডাকাত দলের অন্য সদস্যরা পালিয়ে যায়। জানা যায়, জাকির উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত তাহু মিয়ার ছেলে। এ ব্যাপারে সাহসী পুলিশ অফিসার এ এস আই শেখর আহম্মদ বাবুল বলেন, যদিও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ডাকাতকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি, তবে এটা আমার দ্বায়িত্বের একটি অংশ।
এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নান্নু মোল্লা বলেন, ওই অফিসার কুলিয়ারচর থানার গর্ব। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার দূর্ধর্ষ এক চিহ্নিত ডাকাতকে ডাকাতি করা অবস্থায় গ্রেফতার করে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে। এ ধরণের অফিসার প্রতিটি থানায় থাকলে এ দেশ থেকে অপরাধ নির্মূল করা সম্ভব হত। এ ব্যাপারে কুলিয়ারচর থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে।