কিশোরগঞ্জ-১ আসনে বিএনপির ১১ নেতার চোখ মনোনয়নে

স্টাফ রিপোর্টার
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন পেতে বিএনপির অন্তত ১১ নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের আশির্বাদ পেতে লবিং এর মাধ্যমে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। এ আসনে আওয়ামী লীগের ভিভিআইপি প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অসুস্থতার কারণে বিকল্প প্রার্থীর সম্ভাবনার বিষয়টিকে মাথায় রেখে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। কিশোরগঞ্জ-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এলজিআরডি মন্ত্রী আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। এ আসন থেকে সৈয়দ আশরাফ টানা চার বার নির্বাচিত হয়েছেন। সৈয়দ আশরাফের পরিচ্ছন্ন ইমেজকে পুঁজি করে আওয়ামী লীগ এ আসনে আবারও নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে চাইছে। যদিও তাঁর অসুস্থতার কারণে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে ১০ নেতা দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। রাজনীতি সংশ্লিষ্টদের মতে, সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের বিপরীতে বিএনপির প্রার্থিতা মানেই বিরাট ঝুঁকি। সৈয়দ আশরাফ অসুস্থতার কারণে এবার প্রার্থী হওয়ার মতো অবস্থায় নেই, এমন তথ্য তাঁর ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম জানানোর পর বিএনপিতে শুরু হয়েছে নতুন হিসাব। দলীয় মনোনয়ন পেতে জোরদার তৎপরতা শুরু করে দিয়েছেন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। নানা কৌশলে চলছে তাদের দৌড়ঝাঁপ। নির্বাচনকে সামনে রেখে দলটির অন্তত ১১ নেতা ইতোমধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। মনোনয়ন প্রত্যাশীর এই সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্রগুলো। বিএনপির যে ১১ নেতার মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের খবর দলীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে তারা হলেন, সাবেক এমপি মো. মাসুদ হিলালী, সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শরীফ, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়ালীউলাহ রাব্বানী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী ইসরাইল মিয়া, হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মবিন, বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের ছোট ভাই মির্জা খোকন এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মো. আবদুস সালামের ছেলে আফজাল সালাম। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনের আগে সাবেক কিশোরগঞ্জ-৩ আসনের (সদর) সঙ্গে হোসেনপুর উপজেলা যুক্ত করে নতুন করে কিশোরগঞ্জ-১ আসন বিন্যস্ত করা হয়। এর আগে হোসেনপুর উপজেলা পাকুন্দিয়া উপজেলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট প্রার্থী মো. মাসুদ হিলালী আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কাছে পরাজিত হন। পরবর্তিতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এর আগে ১৯৯৬ সালের ১২ জুন এবং ২০০১ সালের সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হন।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries