সরারচর রেলওয়ের এক কর্মচারীর ২১ বছরেও পদোন্নতি হয়নি!
বাজিতপুর সংবাদদাতা
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার সরারচর রেলওয়ের এক কর্মচারীর ২১ বছরেও পদোন্নতি হয়নি। গত ২৪ বছর ধরে রেলওয়ের কর্মচারী জসিম উদ্দিন (৫৫) টালী সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন একই রেলওয়ে স্টেশনে। জানা যায়, জসিম উদ্দিন বিগত ১৯৮৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারী গার্ডসিপ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধাতালিকার ৭ম স্থান অধিকার করে কৃতকার্য হন। পরবর্তীতে গার্ডসিপ ট্রেনিং পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং বিগত ১৯৮৯ সালের ১৭ মার্চ চড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে মেধাতালিকায় ১ম স্থান অধিকার করেন যা গেজেট নম্বর ৫-এ প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে উক্ত জসিম উদ্দিন গার্ড গ্রেড-২ পদে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষায় থাকলেও তাকে পদোন্নতি না দিয়ে গত ১৯৯৭ সালের ১০ আগস্ট তারই সঙ্গে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা সহকর্মী মো. আব্দুর রশিদকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। পরে আরো দু’জনকে ২০০৩ সালের ২ মার্চ মো. আব্দুল হামিদ ও মাহমুদুর রহমান গংকে গার্ড গ্রেড-২ এ পদোন্নতি দেয়া হয়; পদোন্নতি প্রাপ্ত ২ জনের চূড়ান্ত পরীক্ষার মেধাতালিকায় অবস্থান ছিল ৪ও ৫ নম্বরে বলে ঐ কর্মচারী লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন। সে প্রেক্ষিতে পদোন্নতি বঞ্চিত জসিমউদ্দিন বিগত ২০০৩ সালের ২ এপ্রিলে পদোন্নতির প্রার্থনায় ডি.জি. মহোদয়ের বরাবরে একটি আবেদন করেন এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ ও ডি জি মহোদয়ের কাছে আবেদন করা সত্বেও কোন ফলাফল না পাওয়ায় নিরুপায় হয়ে সে ২০০৫ সালে প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে আবেদন করেন। সেই বিবেচনায় প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল দীর্ঘ শুনানির পর ২০০৯ সালের ২৮ জুন তাঁর পক্ষে রায় প্রদান করা হয় বলে তিনি দাবী করেন। যার মামলা নং-১১৬/২০০৫। একই বছরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। যার আপিল নং-২৫৬/২০০৯। উল্লেখ্য যে, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের আপিলটি ট্রাইবুনালে শুনানির পর ২০১২ সালের ১৪ মে খারিজ করে গার্ড গ্রেড-২ পদে পদোন্নতি দেয়ার পক্ষে রায় প্রদান করেন। সরারচর রেলওয়ের কর্মচারী সহকারী (টালী) জসিম উদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে গত ২১ বছর যাবত আমি আমার ন্যায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছি।। এ বিষয়ে রেলওয়ের মহাপরিচালক (ঢাকা), মো. আমজাদ হোসেন ও মহাব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. আব্দুল হাই-এর সঙ্গে মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার পরও উনারা ফোন রিসিভ করেননি।