নৌকার মাঝি হতে ভূমিপুত্র শাহ আজিজের পক্ষে মনোনয়ন সংগ্রহ


স্টাফ রিপোর্টার
কিশোরগঞ্জের রাজনীতির অঙ্গনে তিনি সুপরিচিত উজ্জ্বল নক্ষত্র। তাঁর রয়েছে দীর্ঘকালের রাজনীতির ইতিহাস। তিনি হলেন অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক। কমিউনিস্ট পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে আসা বর্তমানে কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এই প্রবীণ নেতা দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংগঠনিক বিকাশে নিয়োজিত রয়েছেন। তিনি সংসদীয় আসনের নির্বাচনসহ সার্বক্ষণিক রাজনীতিতেই মগ্ন রয়েছেন। একাধারে তিনি চার বার হয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি। বর্তমানে জেলা পাবলিক প্রসিকিটর হিসেবেও কাজ করছেন এক যুগ ধরে। কিশোরগঞ্জ-১ আসনে পুনঃ সাধারণ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণায় অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হককে প্রার্থী করতে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে দাবি উঠেছে। অতীতের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে নেতাকর্মীরা কিশোরগঞ্জের ভূমিপুত্র শাহ আজিজকে এবার কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকার মাঝি হিসেবে দেখতে চান। এ জন্য বুধবার তাঁর পক্ষে মনোনয়ন ফরম কেনা হয়েছে। রাজনীতিক শাহ আজিজের পক্ষে তাঁর ভাতিজি জামাতা অ্যাডভোকেট তানভীর শাহিন ও ভাতিজি শাহ নৌশিকা কাকন ফরম সংগ্রহ করেছেন। ানা গেছে, ১৯৯১ সালে ১৪ দলীয় ঐক্যজোট থেকে অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক জাতীয় সংসদে মনোনয়ন লাভ করে সক্রিয় অংশগ্রহণের একপর্যায়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নির্বাচনী প্রচারনায় অংশ নেন। পরবর্তীতে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আওয়ামী লীগে যোগদানের পক্ষে সিপিবিতে থিসিস দান ও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীসহ তদানীন্তন বিরোধী দলীয় নেত্রী (বর্তমান প্রধানমন্ত্রী)’র নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগে যোগ দান করেন। এরপর থেকে তিনি প্রতিটি লড়াই সংগ্রাম ও আন্দোলনে তদানীন্তন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বর্তমান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের নেতৃত্বে অংশগ্রহণ করেন। পরে জেলা সম্মেলনের মধ্যদিয়ে কিশোরগগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক নির্বাচিত হন। সর্বশেষ সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ নির্বাচিত হয়ে স্বপদে বহাল আছেন। অপরদিকে তিনি পেশাগত জীবনে সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে আইন পেশায় নিয়োজিত থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির একবার সাধারণ সম্পাদক পরবর্তীতে একটানা চার বার সভাপতি নির্বাচিত হন। পাশাপাশি বিগত এক দশক যাবত প্রথমে এডিশনাল পিপি, পরে ভারপ্রাপ্ত পিপি এবং জেলার পিপি হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। এছাড়াও তিনি সাহিত্যচর্চ্চা ও খন্ডকালীন সাংবাদিকতা পেশায়ও নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, মানবিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন। অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হকের স্ত্রী ফাতেমা জোহরা আক্তার একসময় প্রগতিশীল ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন এবং কিশোরগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী সংসদের জিএস ও জেলা মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা ছিলেন। বর্তমানে জেলা উইমেন চেম্বার অব কমার্সের এন্ড ইন্ডাট্রিজের সভাপনেত্রী। ইতোমধ্যে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সঙ্গী হিসেবে আমেরিকা ও ভারত সফর করেছেন। বরেণ্য এই রাজনীতিকের দুই মেয়ে শাহ প্রমিতি জোহরা ও শাহ ভাস্বতি আকিদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক তাঁর মনোনয়ন বিষয়ে বলেন, ‘একটি মহৎ আদর্শকে সামনে রেখে আজীবন রাজনীতি করেছি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্ব আমার অনুপ্রেরণার উৎস। ১৯৯৬ সাল থেকে প্রয়াত জননেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী হওয়ায় তাঁর সঙ্গে মনোনয়ন প্রতিযোগিতা করিনি। বরং এ আসনসহ জেলার সব ক’টি আসনের নির্বাচনে বিশেষভাবে অবদান রেখেছি। বর্তমানে পরিবর্তিত বাস্তবতা ও দৃশ্যপটে এখন আমি দলীয় মনোনয়ন লাভের প্রত্যাশী। যদি কোনো কারণে দলীয় মনোনয়ন নাই পাই, তবুও আমি আন্দোলন, সংগ্রাম, রাজনীতি, নির্বাচন তথা সর্ব অবস্থায় মাঠে ছিলাম, আছি এবং ভবিষ্যতে থাকব।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries