কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী “পাগলা-মসজিদ”

আমার বাংলাদেশ রিপোর্ট: ‘পাগ*লা মসজিদ’ কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পশ্চিমে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দানদীর তীরে অবস্থিত। মসজিদটিতে ৫ তলা উঁচু ১টি মিনার রয়েছে।জনশ্রুতি আছে নরসুন্দা নদীর বুকে পানিতে ধ্যানরত এক ভাসমান দরবেশ এর আবির্ভাব হয়। তাঁরই মহিমায় নরসুন্দানদীর মাঝে একটি চর জেগে ওঠে। এলাকাবাসী দরবেশের অসংখ্য কেরামতিতে বিমুগ্ধ হয়ে তার খেদমতে হুজরাখানা তৈরি করেন। দরবেশের মৃ ত্যুর পর তাঁর হুজরাখানার পাশেই এই পাগ*লা সাধকের স্মৃতিতে ‘পাগ*লা মসজিদ’নির্মান হয়। মসজিদটির সঠিক ইতিহাস কারোর জানা নেই।

মসজিদের ব্যয়ে ২০০২ সালে মসজিদের পাশেই একটি হাফেজিয়া মাদরাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মসজিদে যে কেউ পবিত্র নিয়তে কিছু দান-খয়রাত করলে বা নফল নামাজ আদায় করার পর “মানত” করলে মনের আশা পূরণ হয় এমন জনশ্রুতি রয়েছে। এজন্য প্রতিদিন শতশত মানুষ এই মসজিদে আসে। ফলে সাধারণ মানুষ এমন বিশ্বাসের আলোকে পাগ*লা মসজিদে গরু-খাসি এবং প্রচুর স্বর্ণ অলংকার সহ প্রচুর টাকা দান-খয়রাত করে থাকেন। প্রতিদিন মসজিদের আয় দুই লক্ষ টাকার বেশি।

হয়বতনগর দেওয়ানবাড়ির ১০ শতাংশ ওয়াক্ফ সম্পত্তিতে গড়ে ওঠা পাগলা মসজিদের বর্তমান জমির পরিমাণ তিন একর ৮৮ শতাংশ। মসজিদে নারীদের নামাজ আদায়ের আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের অর্থায়নে গড়ে উঠেছে এতিমখানা ও মাদরাসা। এখানে ছেলে-মেয়েদের থাকা-খাওয়া, পোশাকসহ লেখাপড়ার খরচ বহন করা হয়।

কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক পদাধিকারবলে পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি। তাঁর তদারকিতে মসজিদের আর্থিক ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত স্বচ্ছ। পাগলা মসজিদের অর্থায়নে এলাকার অন্যান্য প্রাচীন মসজিদের সংস্কার ও উন্নয়ন করা হচ্ছে। এলাকায় দরিদ্র অসহায় অসুস্থ অসচ্ছল পরিবারের জন্য পাগলা মসজিদ থেকে অনুদান দেওয়া হয়। লেখাপড়া, চিকিৎসা, অভাবী নারীর বিয়ের সময় সাহায্য করা এ মসজিদের গণমুখী কার্যক্রমের অংশ।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ