শ্রমিকদের ১২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছেন অনন্ত জলিল

ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত ‘খোঁজ—দ্য সার্চ’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ২০১০ সালে ঢালিউডে যাত্রা শুরু করেন নায়ক-প্রযোজক ও ব্যবসায়ী অনন্ত জলিল। তাঁর হাত ধরে মূলত বাংলাদেশে ডিজিটাল চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়। এরপর একের পর এক চলচ্চিত্র উপহার দিয়ে তিনি রাতারাতি বনে যান সুপার হিরো। হল মালিকরা তাঁর ছবির জন্য অপেক্ষায় থাকেন। তবে শুধু পর্দায় নয়, বাস্তবেও তিনি সুপার হিরো!

বিশ্বজুড়ে চলছে করোনাভাইরাসের প্রকোপ। এর প্রভাব পড়েছে পোশাক কারখানায়। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বেশিরভাগ কারখানাই বন্ধ করা হয়েছে। চলতি মাসের বেতন না পাওয়ায় অনেক পোশাক শ্রমিক এরই মধ্যে বিক্ষোভ করেছেন। তবে ভিন্নতা দেখিয়েছেন অনন্ত জলিল। তিনি সম্প্রতি তাঁর কারখানার শ্রমিকদের ১২ কোটি টাকা পারিশ্রমিক দিয়েছেন।

এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে অনন্ত জলিল বলেন, এটা শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা। করোনার এই সময়ে সবারই উচিত অন্যদের পাশে দাঁড়ানো। যে শ্রমিকদের জন্য বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানিতে আজ বিশ্বের মধ্যে অন্যতম, তাঁদের ন্যায্য পাওনা পরিশোধ এবং তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্বও মালিকদের নিতে হবে।

এরই মধ্যে অসচ্ছল শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনন্ত জলিল। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মাধ্যমে গত ২৭ মার্চ ২২০ জন বেকার শিল্পীর কাছে সহায়তা সামগ্রী হিসেবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্কসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দিয়েছেন। এরপর ২৯ মার্চ পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির উদ্যোগে চলচ্চিত্রের আরো ২৬০ জন দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ান অনন্ত। সম্প্রতি নৃত্য পরিচালক ও সহকারী ব্যবস্থাপকদেরও তিনি অনুদান দেন।

এ ছাড়া তিনি তাঁর কারখানার এলাকা হেমায়েতপুরের একটি মসজিদে পাঁচ লাখ টাকা দান করেছেন। সেখানেও দিয়েছেন খাদ্যসামগ্রী। দুটি অসহায় পরিবারের মাসিক খরচ বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন অনন্ত। তাঁদের প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দেন তিনি।

অনন্ত জলিল অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে—‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম টু’, ‘নিঃস্বার্থ ভালোবাসা’, ‘দ্য স্পিড’। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ-ইরানের যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত ‘দিন—দ্য ডে’ সিনেমায় অভিনয় করছেন। এই সিনেমাতে তাঁর নায়িকা স্ত্রী বর্ষা।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ