মানব দেহে ট্রায়াল শুরু অক্সফোর্ডের করোনা ভ্যাকসিনের! প্রথম কার শরীরে প্রয়োগ হল এর

মারণ সংক্রমণ করোনায় জর্জরিত গোটা বিশ্ব। এই পরিস্থিতি থেকে ততদিন নিস্তার পাওয়া যাবে না, যতদিন না এই ভাইরাসের কোনও ভ্যাকসিন তৈরি হচ্ছে। আর সেই লক্ষ্যেই এবার মানব শরীরে কোভিড ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে গেল অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রথম যাঁর শরীরে এই ভ্যাকসিন ইনজেক্ট করা হয়েছে তিনি হলেন এলিসা গ্রানাটো নামক একজন মহিলা বিজ্ঞানী।

কোন প্রক্রিয়ায় চলবে এই ভ্যাকসিনের টেস্ট? ChAdOx1 nCoV-19 নামক এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের টিম বানানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। এদের প্রত্যেকের বয়স ১৮ থেকে ৫৫ বছরের মধ্যে। তাঁদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছে। একটি দলকে কোভিড ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। অন্যদলকে এমন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে যা মেনিনজাইটিসের প্রতিরোধী। দুই দলের উপর কোন ওষুধ কেমন কাজ করে তা খতিয়ে দেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

কী ভাবে কাজ করবে এই ChAdOx1 nCoV-19? জানা গিয়েছে, করোনা ভাইরাসের জেনেটিক তথ্যধারী আরএনএ-কে একটি কমন ভাইরাসে ইঞ্জেক্ট করে করোনা ভাইরাসের একটি নকল তৈরি করা হয়। এটা এরপর মোডিফাই করে শরীরে ইঞ্জেক্ট করা হয়। কমন ভাইরাস ভেক্টর বা বাহক হিসাবে কাজ করে। সেটাই শরীরে এই মডিফাইড ভাইরাসটিকে অ্যান্টিবডিতে পরিণত করে। অ্যাডেনোভাইরাল ভ্যাকসিন ভেক্টর ও সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেনের স্পাইক প্রোটিনকে কাজে লাগিয়ে এই ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে।

তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের কাজ চলছে লন্ডনে সারা বিশ্বের অন্য গবেষকদের মতো অক্সফোর্ডের গবেষকেরাও কোভিড ১৯ -এর অ্যান্টিবায়োটিক তৈরিতে কাজে লেগে পড়েছিলেন বহু আগে। ১০ জানুয়ারি থেকে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের কাজ শুরু করেছে অক্সফোর্ডও জেন্না। মার্চেই প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়েরই কাজ চলছে বর্তমানে।

কোন কোন বিজ্ঞানীরা রয়েছেন এই ভ্যাকসিনের পিছনে! করোনারোধী এই ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও গবেষনার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক-বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট। যিনি ইবোলা মহামারী প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন তৈরির দিশা দেখিয়েছিলেন। এছাড়া রয়েছেন অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল ও ড স্যান্ডি ডগলাস।

 

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ