করোনাভাইরাস: বাংলাদেশে ষাটতম দিনে আরো প্রায় আটশ রোগী শনাক্ত হলো বাংলাদেশে

বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭৯০ জনের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

এখন পর্যন্ত একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক শনাক্ত হওয়া রোগী।

এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১,৭১৯ জন।

গত চব্বিশ ঘণ্টায় মারা গেছেন গেছেন ৩ জন জন, এদের মধ্যে একজন ঢাকার বাইরের রোগী।

এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ১৮৬ জন।

এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ১,৩২৭ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য তুলে ধরেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ৬,৭৭১টি, এর মধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে ৬,২৪১।

এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯৯ হাজার ৬৪৬ জনের।

গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে রাখা হয়েছে ১৮৪ জন মানুষকে, এবং এ পর্যন্ত মোট আইসোলেশনে রয়েছেন ১,৭৯৪ জন।

এ সময় সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন ৮৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে নেয়া হয়েছে ৩,৮৮৯ জনকে, এ পর্যন্ত সর্বমোট কোয়ারেন্টিনে আছেন দুই লক্ষ এক হাজার ৭০০ জন।

কোয়ারেন্টিন থেকে এ পর্যন্ত ছাড়া পেয়েছেন এক লক্ষ ৬০ হাজার ৫৬১ জন।

ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পিপিই গত ২৪ ঘণ্টায় সংযোজিত হয়েছে ৮১ হাজার ৬৩০টি, এবং বিতরণ করা হয়েছে ৪০ হাজার ৯২২টি।

বর্তমানে মজুদ আছে চার লক্ষ ২১ হাজার ৪৮০টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের হটলাইনে সমস্যা জানিয়ে ও স্বাস্থ্য পরামর্শের জন্য মোট ৫৮ হাজার ৮৮৫টি ফোনকল এসেছে।

এ পর্যন্ত মোট ফোনকল এসেছে ৪১ লক্ষ ৩ হাজার ৯৪৫ টি।

মোবাইল ফোন ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ২৭ হাজার ৬৭৬ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় স্ক্রিনিং করা হয়েছে ৫০১ জনের, এবং মোট স্ক্রিনিং করা হয়েছে ছয় লাখ ৭৯ হাজার ৯০০।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা উল্লেখ করেন, নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব এখন আর আইইডিসিআর পালন না করলেও, বাড়ি থেকে বাইরে বের হবার ক্ষেত্রে অক্ষম ব্যক্তি এবং শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনা হবে।

এছাড়া নমুনা সংগ্রহের জন্য বুথ তৈরি করা হচ্ছে।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ