কোভিড ১৯ সন্দেহে মৃত রোগীর স্যাম্পল নিয়ে টেস্ট এবং ভাইরোলজিস্টের অভিমত

কোভিড ১৯ সন্দেহে মৃত রোগীর স্যাম্পল নিয়ে টেস্ট এবং ভাইরোলজিস্টের অভিমত
লেখক-
ডা. নুসরাত সুলতানা
ভাইরোলজিস্ট
সহকারী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
ভাইরাস তার বৃদ্ধির জন্য শতভাগ host এর কোষের উপর নির্ভরশীল। ফলে মানুষ মরে গেলে ভাইরাসের অস্তিত্ব কয়েকঘন্টার বেশী থাকেনা। তাই দ্রুতসময়ের মাঝে অর্থাৎ ৩-৪ ঘন্টার মধ্যে স্যাম্পল সংগ্রহ করতে না পারলে রোগী করোনায় আক্রান্ত হলেও রিপোর্ট নেগেটিভ আসবে।
এছাড়া মৃত দেহ থেকে স্যাম্পল সংগ্রহ করা সহজ নয়। এবং এদের কেবল nasal swab নেয়া যায়৷ যথাযথ positioning করা যায়না বলে অপর্যাপ্ত cell আসার সম্ভাবনা থাকে। এতেও ফলস নেগেটিভ হতে পারে।
করোনার সংক্রমন যখন peak এ তখন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া রোগীর জন্য ডায়াগনস্টিক ক্রাইটেরিয়া ফিক্স করে টেস্টের আওতায় না এনে কোভিড ১৯ পজিটিভ হিসেবেই লাশ হস্তান্তর করলে ভালো হয় বলে আমি মনে করি।
পরিশেষে কোভিড ১৯ এ সারাবিশ্ব ব্যাপী বহু মানুষ মারা গেছে। বাংলাদেশে ও মারা যাবে এটাই স্বাভাবিক। এতে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ার কিছু নাই। এখন মৃতের সংখ্যা কম বলেই কিন্তু মানুষের মাঝে false sense of security কাজ করছে। তারা ভাবছে আক্রান্ত যতই হোকনা কেন, মানুষতো তেমন মারা যাচ্ছেনা। তাই মার্কেটে, কাঁচাবাজার সব জায়গায় মানুষ হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে নিজে আর বহন করে নিয়ে যাচ্ছে আত্মীয় প্রতিবেশীর জন্য।
(সংগৃহীত)

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ