যে ভয় নিয়ে জন্মদিন কাটে সিয়ামের

অভিনয়শিল্পী সিয়াম আহমেদের জন্মদিনটা পরিবারের সঙ্গেই কাটে। মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রমও হয়। বাসায় থাকলে স্ত্রী অবন্তীর সঙ্গে মনোমালিন্য হওয়া যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবারই ঘটনার সূত্রপাত হয় বাইরে ঘুরতে যাওয়া কেন্দ্র করে। কোথায় যাওয়া যায়, এ নিয়ে দুজন দ্বিধাদ্বন্দ্বে থাকেন। অন্তত ১৫টি জায়গা ঠিক করেও শেষে যেতে হয় বাসার আশপাশে কোথাও। জন্মদিন এলে সিয়ামকে নিয়ে কোথায় যাবেন, এ নিয়ে বিহ্বল হয়ে পড়েন অবন্তী, জানালেন সিয়াম নিজেই।

পরিবারে সিয়ামরা চারজন—তিনি, মা, বাবা ও স্ত্রী। গত কয়েক বছরে এই অভিনয়শিল্পীর পরিবারের অংশ হয়ে গেছেন তাঁর ভক্তরাও। জন্মদিন এলেই তাঁরা কেক কেটে দিনটি পালন করেন। সিয়ামকে নিয়ে তাঁরা ফেসবুকে খুলেছেন একটি গ্রুপ। সেখানে জন্মদিন উদ্‌যাপনের ছবি পোস্ট করেন তাঁরা। অনেকে দূরদূরান্ত থেকে সিয়ামের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। ভক্তরা সঙ্গে করে নিয়ে আসেন নানা রকম উপহার। সিয়াম জানান, ভক্তদের এই ভালোবাসায় তিনি মুগ্ধ। একজন অভিনেতা হিসেবে এটা তাঁর বড় প্রাপ্তি। তবে মাঝেমধ্যে ভক্তদের ওপর বিরক্তও হন তিনি। সিয়াম বলেন, ‘আমার বেশির ভাগ ভক্ত পড়াশোনা করেন। তাঁরা কোথায় টাকা পাবেন? এ জন্য তাঁদের নিষেধ করি, যেন কিছু না আনেন। অনেক সময় বিরক্তও হই। অনুরোধ সত্ত্বেও তাঁরা ভালোবেসে ফুল, চকলেটসহ অনেক কিছু নিয়ে আসেন, ফেরাতেও পারি না। বুঝি যে তাঁরা আমাকে পরিবারের অংশ মনে করেন।’ কেবল ভক্তরা নন, জন্মদিনে পরিবারের সদস্যরাও নানাভাবে সারপ্রাইজ দেন সিয়ামকে। তবে ২০১৬ সালের জন্মদিনটি সিয়ামের কাছে ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। প্রথমবারের মতো সেবারই তিনি পরিবারকে ছেড়ে দূরে ছিলেন। পড়াশোনার জন্য অবস্থান করছিলেন যুক্তরাজ্যে। ঢাকায় বসে কেক বানিয়েছিলেন তাঁর হবু স্ত্রী। ভিডিও কলে হবু শ্বশুর-শাশুড়িকে নিয়ে কেকটি কেটেছিলেন অবন্তী। সেদিন ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন সিয়াম। রীতিমতো কান্না পেয়েছিল। সেবার লন্ডন থেকে বন্ধুরা কেক নিয়ে গিয়েছিল নিউ ক্যাসলে। সিয়াম জানালেন, সেবার প্রায় ১৭ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে তাঁর বন্ধুরা গিয়েছিলেন সিয়ামকে নিয়ে কেক কাটার জন্য। পরদিন তাঁদের পরীক্ষাও ছিল। সিয়াম বলেন, ‘বন্ধুদের এই ভালোবাসা কখনোই ভুলতে পারি না।’

কলেজজীবনের এক জন্মদিনের কথা স্মরণ করলেন সিয়াম আহমেদ। ছাত্র পড়িয়ে হাতখরচ চলত তাঁর। সেবারের জন্মদিনে বাবা-মা তাঁকে শুভেচ্ছা জানালেন না। হয়তো ভুলে গিয়েছিলেন। তখন জন্মদিন উদ্‌যাপন নিয়ে তাঁর তেমন আগ্রহ ছিল না। ভেবেছিলেন দিনটা আর দশটা স্বাভাবিক দিনের মতোই কেটে যাবে। কিন্তু সেই জন্মদিনটিই হয়ে আছে তাঁর জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় জন্মদিন। সিয়াম বলেন, ‘দিনটা শেষ হওয়ার আগে মা-বাবা আমাকে একটি খাম দিয়েছিল। সেটার ভেতরে ছিল কিছু টাকা আর একটা কাগজে উপদেশমূলক কিছু বার্তা। সেটা এখনো আমার জীবনের এক অমূল্য সম্পদ।’জন্মদিনে সিয়ামের উপলব্ধি, আগামীবার কী হবে? সবাই কি থাকবেন সঙ্গে! আত্মীয়স্বজনদের অনেকের বয়স বাড়ছে। চলছে মহামারি। জন্মদিনে তাঁর প্রত্যাশা থাকে, পরের জন্মদিনটাও যেন সবাইকে নিয়ে উদ্‌যাপন করতে পারেন। সিয়াম এখন ব্যস্ত নিয়মিত শুটিং নিয়ে। তাঁর হাতে রয়েছে ‘দামাল’, ‘ইত্তেফাক’, ‘পরান’, ‘অপারেশন সুন্দরবন’, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’সহ বেশ কিছু সিনেমা।

Source:Daily Prothom Alo

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries