ভারতকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল শ্রীলঙ্কা

বিরাট কোহলি–রোহিত শর্মা–অজিঙ্কা রাহানেরা গেছেন ইংল্যান্ড সফরে। বলতে গেলে প্রায় দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে শ্রীলঙ্কা সফরে গেছে ভারত। সেই দল নিয়েই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২–১ ব্যবধানে জেতার পর প্রথম টি–টোয়েন্টিও জিতেছে তারা। কিন্তু দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টির আগে করোনার আঘাতে আরও ‘দুর্বল’ হয়ে গেছে ভারত। ক্রুনাল পান্ডিয়ার করোনা ধরা পড়ার পর আইসোলেশনে চলে যেতে হয়েছে আরেক পান্ডিয়া হার্দিকসহ আরও ছয়জনকে। দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে তাই খেলতে পারেননি দুই পান্ডিয়া ভাইসহ পৃথ্বী শ, সূর্যকুমার যাদব, ইশান কিষানরা।কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে আজ টি–টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছে চার ভারতীয় খেলোয়াড়ের। ‘দুর্বল’ হয়ে পড়া এই ভারত এবার আর জিততে পারেনি। শেষ ওভারে গড়ানো ম্যাচে তারা লড়াই করে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরেছে ৪ উইকেটে। এই ম্যাচ জিতে ৩ ম্যাচের সিরিজে ১–১–এ সমতা এনেছে শ্রীলঙ্কা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভারত খুব বেশি রান তুলতে পারেনি স্কোরবোর্ডে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান তুলতে পেরেছে তারা। মিডল অর্ডারে শক্তি হারিয়ে ফেলা ভারত এই রান তুলতে পারে প্রথম তিন ব্যাটসম্যান রুতুরাজ গায়কোয়াড়, শিখর ধাওয়ান ও দেবদূত পাড়িক্কালের তিনটি ইনিংসে। সর্বোচ্চ ৪০ রান করেছেন ধাওয়ান। এই রান তিনি করেছেন ৪২ বলে ৫টি চারে। একটি করে ছয় ও চারে ২৩ বলে ২৯ রান করেছেন পাড়িক্কাল। আর একটি চারে ১৮ বলে ২১ রান গায়কোয়াড়ের।

ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬৬ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। এরপরও অবশ্য দলকে জয়ের পথে রাখেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। একটি করে ছয় ও চারে ৩৪ বলে অপরাজিত ৪০ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। ৩১ বলে শ্রীলঙ্কার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেছেন মিনোদ ভানুকা।

Source: Prothom alo