পাকিস্তান বোর্ডকে আইসিসির দরজা দেখিয়ে দিল ভারতের বোর্ড
শহীদ আফ্রিদি, মোহাম্মদ হাফিজ, কামরান আকমলের মতো খেলোয়াড়েরা খেলার কথা টুর্নামেন্টে। এর বাইরে তিলকারত্নে দিলশান, হার্শেল গিবসের মতো বিদেশি কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটারেরও খেলার কথা ছিল। কিন্তু সেখানেই বিসিসিআই বাদ সাধছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রশিদ লতিফ টুইট করেছেন, বিসিসিআই অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে যে, ওই বোর্ডগুলোর সাবেক ক্রিকেটাররা যদি কেপিএলে খেলেন, সে ক্ষেত্রে ওই ক্রিকেটারদের ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট কোনো কাজে ভারতে ঢুকতে দেওয়া হবে না, ভারতীয় ক্রিকেটের কোনো কাজেও লাগানো হবে না।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ব্যাটসম্যান হার্শেল গিবসও গতকাল একই কথাই বলেছেন। বিসিসিআই তাঁকে কেপিএলে খেলতে নিষেধ করে দিয়েছে বলে জানিয়ে ক্রিকেটের মধ্যে বিসিসিআই ‘রাজনৈতিক এজেন্ডা’ ঢোকাচ্ছে বলে টুইট করেছেন গিবস। কেপিএলে ওভারসিজ ওয়ারিয়র্সে খেলার কথা ছিল গিবসের।
এ নিয়ে ক্ষুব্ধ পিসিবিও। গতকাল বিবৃতি দিয়েছে এ নিয়ে। ভারত ‘আন্তর্জাতিক সৌজন্যের রীতি এবং ভদ্রলোকের খেলাটার চেতনার বিরুদ্ধে যাচ্ছে’ জানিয়ে বিবৃতিতে পিসিবি লিখেছে, বিসিসিআইয়ের এমন ঘৃণ্য কাজ তারা মেনে নেবে না, সহ্য করবে না।
এবার বিসিসিআইয়ের দিক থেকে এর উত্তর এসেছে। কোনো বিবৃতি দেয়নি বিসিসিআই, আনুষ্ঠানিকভাবে কথাও বলেননি কোনো বিসিসিআই কর্মকর্তা। তবে নাম প্রকাশ না করে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই লিখেছে, ‘সাবেক একজন ক্রিকেটার যিনি কিনা সিবিআইয়ের তদন্তে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগে ধরা পড়েছেন, তাঁর মন্তব্যের সত্যতা কেউ স্বীকার বা অস্বীকার কোনোটিই করছে না ঠিকই। তবে গিবসের কথাকে সত্যি ধরে নিলেও পিসিবিকে এটা বুঝতে হবে যে ভারতের ক্রিকেটের ইকোসিস্টেমের ব্যাপারে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার পুরো অধিকার বিসিসিআইয়ের আছে।’
ভারতের ক্রিকেটের ‘টাকার ছড়াছড়ির’ ব্যাপারও কিছুটা উঠে এল তাঁর কথায়, ‘ক্রিকেট সংক্রান্তের কাজের সুযোগের ক্ষেত্রে ভারতের ক্রিকেটের ইকোসিস্টেমই তো বিশ্বে সবচেয়ে আকর্ষণীয়, এটা নিয়ে পিসিবির হিংসা করে কোনো লাভ হবে না।’
বিসিসিআইয়ের কাজে অসন্তুষ্ট হলে সে ক্ষেত্রে পিসিবিকে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়ে দিলেন ওই কর্মকর্তা, ‘ওরা চাইলে আইসিসির কাছে এ নিয়ে বিচার দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে ওরা সেটা কেন করবে তা-ও যে কেউই বুঝবে।’
পিসিবির পৃষ্ঠপোষক যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ইমরান খান, সেটি মনে করিয়ে দিয়ে পিসিবিকে উল্টো হুমকিও দিয়ে রাখলেন, ‘তবে ওদের নিজেদের যে প্রশ্নটা করা উচিত সেটা হচ্ছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যেহেতু তাদের বোর্ডের পৃষ্ঠপোষক, সে ক্ষেত্রে ওদের (পিসিবি) কাজেও কি সরকারের হস্তক্ষেপ নেই? ওই ব্যাপারটাও আইসিসির দরবারে আলোচনায় তোলা উচিত কি না, সেটাও ভেবে দেখা দরকার।’
Source: Prothomalo