বিধিনিষেধের ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ, এসআই প্রত্যাহার

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশের এক উপপরিদর্শককে (এসআই) আটক করেছেন স্থানীয় লোকজন। পরে তাঁকে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। অভিযুক্ত এসআই তৌহিদুল ইসলামকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

রোববার বিকেলে উপজেলার জমিদারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এসআই তৌহিদুল জেলা পুলিশের বেগমগঞ্জ সার্কেল কার্যালয়ে কর্মরত ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসআই তৌহিদুল ইসলাম রোববার বিকেলে বুকের নেমপ্লেট খুলে পুলিশের পোশাক পরা অবস্থায় উপজেলার জমিদারহাট বাজারে যান। সেখানে বিধিনিষেধের ভয় দেখিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদা আদায় শুরু করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন একত্র হয়ে তিনি আসল পুলিশ কি না, জানতে চান। বিষয়টি নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডার একপর্যায়ে ক্ষুব্ধ লোকজন তাঁকে আটকে রেখে বেগমগঞ্জ থানায় খবর দেন।

খবর পেয়ে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রুহুল আমিন পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এরপর জেলা পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামের নির্দেশে তাৎক্ষণিকভাবে এসআই তৌহিদুল ইসলামকে সার্কেল কার্যালয় থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়। এ ছাড়া পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে পরিদর্শক রুহুল আমিনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পরিদর্শক রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশের একজন এসআইকে আটক করে রাখার খবর পেয়ে তিনি জমিদারহাট যান। তিনি গেলে লোকজন এসআই তৌহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে একটি সিএনজি অটোরিকশার চালকের কাছে টাকা দাবির অভিযোগ করেন। তবে তৌহিদুল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এরপর তিনি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে এসআই তৌহিদুলকে প্রত্যাহার করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম রোববার রাত ৯টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত এসআইকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে। বেগমগঞ্জ থানার পরিদর্শককে বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তাঁর প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হলে প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।

Source: Prothomalo