বিদেশে চাকরির কথা বলে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২

বিদেশে চাকরির কথা বলে এক কিশোরীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার একটি বাড়িতে র‍্যাব অভিযান চালিয়ে থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর মায়ের করা মানব পাচার ও ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার ওই দুই ব্যক্তি হলেন নাটোর সদর উপজেলার সোহরাব হোসেন (৫৫) ও ছানোয়ার ইসলাম (২৩)।

নাটোর র‍্যাব ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সোহরাব হোসেন ও তাঁর এলাকার মো. আলী (৭০) বিভিন্ন স্থান থেকে কাজ দেওয়ার কথা বলে শিশু-কিশোরীদের জোগাড় করেন। পরে তাদের পাচার করেন। ছানোয়ার এই চক্রের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। গত ১৮ জুলাই বিদেশে চাকরির কথা বলে তাঁরা সিংড়া উপজেলা থেকে এক নারী ও তাঁর ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে ছানোয়ারের বাড়িতে নিয়ে আসেন।

এক দিন পর ওই নারীর চাকরি হবে না জানিয়ে তাঁকে বিদায় করে দিয়ে তাঁর মেয়েকে ছানোয়ারের বাড়িতে রেখে দেওয়া হয়। ভয়ভীতি দেখিয়ে ছানোয়ার কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। কিশোরীর মা ও নানি কয়েক দিন ছানোয়ারের বাড়িতে এসে মেয়েটিকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে নাটোর র‍্যাব ক্যাম্পে যোগাযোগ করেন।

এরপর গতকাল দুপুরে কিশোরীর মা ও নানি র‍্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে রাতেই ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ছানোয়ারের বাড়ি থেকে আটকে রাখা কিশোরীকে উদ্ধার করে র‍্যাব।

কিশোরীর হাতে ও পায়ে বেঁধে রাখার চিহ্ন ও নির্যাতনের নমুনা দেখা যায়। উপস্থিত লোকজনের সামনেই কিশোরী ধর্ষণের ব্যাপারে র‍্যাবের কাছে অভিযোগ জানায়। অভিযানে অভিযুক্ত ছানোয়ার ইসলাম ও সোহরাব হোসেনকে আটক করা হয়। অপর অভিযুক্ত মো. আলী পালিয়ে যান।

আজ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সিংড়া থানায় সোপর্দ করেছে র‍্যাব। এ ব্যাপারে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর ই আলম সিদ্দীকি বলেন, এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কিশোরীর মা বাদী হয়ে মানব পাচার ও ধর্ষণের দুটি মামলা করেন। দুই মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীকে আজই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হাজির করে জবানবন্দি নেওয়া হবে। পাশাপাশি মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে।

নাটোর র‍্যাব ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. সানরিয়া চৌধুরী এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

Source: Prothomalo