স্বামীর দাফনের প্রস্তুতির মধ্যেই স্ত্রীরও মৃত্যু, দুজনেরই ছিল করোনার উপসর্গ

সুনামগঞ্জে জগন্নাথপুর উপজেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর চার ঘণ্টা পর মারা গেছেন তাঁর স্ত্রীও। আজ সোমবার উপজেলার মীরপুর ইউনিয়নের হাসান ফাতেমাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া দুজন হলেন ফাতেমাপুর গ্রামের ছামির আলী (৭০) ও তাঁর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬৫)। তাঁদের পরিবারের অন্য সদস্যদের মধ্যেও করোনার উপসর্গ

এলাকাবাসী ও পরিবারের লোকজন জানান, ছামির আলী ও তাঁর পরিবারে সদস্যরা বেশ কিছুদিন ধরে করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা পরীক্ষা না করে স্থানীয় ফার্মেসি থেকে ওষুধ এনে সেবন করছিলেন তাঁরা। উপসর্গের বিষয়টি গোপন রেখে সম্প্রতি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে স্বামী-স্ত্রী দুজনই টিকা নেন।

আজ সোমবার বেলা ১টায় মারা যান ছামির আলী। বিকেল সাড়ে ৫টায় তাঁর জানাজা নামাজের সময় নির্ধারণ করা হয়। জানাজার প্রস্তুতি চলাকালে বিকেল ৫টায় মারা যান স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৬৫)। পরে পারিবারিক কবরস্থানে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাঁদের দাফন সম্পন্ন হয়।

মারা যাওয়া দম্পতির চার ছেলে, দুই মেয়ে। তাঁদের মধ্যে তিন ছেলে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন। বাড়িতে আরেক ছেলে রাকিব উদ্দিন, দুই মেয়ে ও রাকিবের স্ত্রী থাকেন। রাকিব বলেন, পরিবারের সবাই জ্বর, সর্দি–কাশিতে ভুগছেন। তাঁরা বিষয়টি সাধারণ জ্বর–সর্দি হিসেবে দেখছেন, তাই করোনা পরীক্ষা করাননি। বাবার মৃত্যুর চার ঘণ্টা পর মায়ের মৃত্যু তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না।

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মধুসূদন ধর বলেন, তাঁরা করোনা পরীক্ষা করেননি। করোনা উপসর্গ থাকতে পারে। পরিবারের অন্য সদস্যদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হবে। টিকা গ্রহণের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।

Source: Prothomalo