রোহিঙ্গা প্রশ্নে বিশ্বব্যাংকের অবস্থান দুঃখজনক

ড. ইমতিয়াজ আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের পরিচালক। প্রথম আলোর সঙ্গে তিনি কথা বলেন মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের সমস্যা, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন সম্পর্কে। আলোচনায় এসেছে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎও।

মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা বিতাড়িত হয়ে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় চার বছর হতে চলল। জনবহুল বাংলাদেশের পক্ষে ১১ লাখ রোহিঙ্গার বোঝা বহন করা কঠিন। সমস্যা সমাধানের কোনো উপায় দেখছেন কি?

ইমতিয়াজ আহমেদ: ভুটানের মোট জনসংখ্যার চেয়ে বেশি একটি জনগোষ্ঠীর বোঝা আমাদের বইতে হচ্ছে। ভুটানের জনসংখ্যা ৮ লাখ। আর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ১১ লাখ রোহিঙ্গা। কীভাবে, কত দিনে এই সমস্যার সমাধান হবে, বলা কঠিন। আমার ধারণা, এই সমস্যার সমাধানে বহুমাত্রিক চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি চীন, ভারত ও জাপানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে হবে। এই তিন রাষ্ট্রের সঙ্গে মিয়ানমারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে) এদের মিয়ানমারের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। সেখানে মিয়ানমার, চীন, ভারত ও রাশিয়ান বিচারকও ছিলেন। কেউ বিরোধিতা করেননি। আদালতের রায় ছিল সর্বসম্মত। আমরা মনে করি, এটি রোহিঙ্গাদের জন্য একটি আইনি স্বীকৃতি।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেছিল। কিন্তু তাদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে তারা কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারেনি। এ বিষয়ে ভূরাজনীতির টানাপোড়েন কতটা দায়ী বলে মনে করেন?

ইমতিয়াজ আহমেদ: আমি ভূরাজনীতিকে বড় করে দেখছি না। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের ক্ষেত্রে ভূরাজনীতির চেয়েও বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। আন্তর্জাতিক আদালত মিয়ানমারে গণহত্যা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন। কিন্তু তারপরও সব ক্ষমতাধর রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে। গত ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর মিয়ানমারে ৯০০ লোককে হত্যা করা হয়েছে। এরপরও পশ্চিমা দেশসহ চীন, জাপান, ভারত, সিঙ্গাপুর ও আসিয়ান দেশগুলো মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে ব্যবসা বন্ধ করেনি

মিয়ানমারের সঙ্গে চীন ও ভারত—দুই দেশেরই সুসম্পর্ক আছে। কিন্তু রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে তাদেরও দৃশ্যমান ভূমিকা নেই। এ বিষয়ে আমাদের কূটনৈতিক কোনো ঘাটতি আছে বলে মনে করেন?

ইমতিয়াজ আহমেদ: একটি জনগোষ্ঠীকে তাদের দেশ থেকে উৎখাত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই বিশ্ব সম্প্রদায়ের দায় আছে; বিশেষ করে যেসব দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা করছে, সেখানে বিনিয়োগ করছে, তারা যাতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করে, সেই লক্ষ্যে জনমত গড়ে তুলতে হবে। এ ব্যাপারে সেখানকার নাগরিক সমাজ ও সংবাদমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। কিন্তু ভারত, জাপানসহ অনেক দেশেই দেখেছি, রোহিঙ্গা সমস্যাটি নিয়ে তেমন আলোচনা হয় না। চলতি বছর বাংলাদেশে বিশ্ব শান্তি সম্মেলন হওয়ার কথা। রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা শান্তির জন্য যে বড় বাধা, এটা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোঝাতে হবে। আলোচনা হতে হবে বহু স্তরে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি ও নাগরিক পর্যায়ে আলোচনা বাড়াতে হবে। এখন সম্মেলন করার জন্য সবাইকে ঢাকায় আনারও প্রয়োজন নেই। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোঝাতে হবে, সমস্যাটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের নয়। বিশ্বের ১৯টি দেশে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী আছে। ওসব দেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা লেখক-বুদ্ধিজীবীরা মিয়ানমারে তাদের ওপর যে নৃশংসতা হয়েছে, এখনো হচ্ছে, সেসব বিভিন্ন ফোরামে তুলে ধরছেন। এমনকি প্রবাসী অনেক কর্মী-লেখক-বুদ্ধিজীবী রোহিঙ্গাদের পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন। এই কাজ আরও বেশি হওয়া উচিত।

: মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ক্ষমতা নেওয়ার পর সমস্যাটি আরও প্রকট হয়েছে। সেখানকার সামরিক সরকার বিশ্ব জনমতকে তোয়াক্কা করবেব—এমন কোনো লক্ষণ দেখছেন কি?

ইমতিয়াজ আহমেদ: মনে রাখতে হবে, মিয়ানমারে সেনাবাহিনী সব সময়ই ক্ষমতায় ছিল এবং এখনো আছে। তারা ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির নেতা অং সান সু চিকে ক্ষমতার ভাগ দিয়েছে নিজেদের স্বার্থে। তারা মনে করেছে, এর মাধ্যমে পশ্চিমা বিশ্বকে খুশি করা যাবে এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে যে অর্থনৈতিক অবরোধ ছিল, তা প্রত্যাহার হয়ে যাবে। বাস্তবেও তাই হয়েছে। এরপর তারা সু চিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়েছে। ক্ষমতায় আসার আগে আন্তর্জাতিক মহলে সু চির যে ভাবমূর্তি ছিল, এখন তা নেই। মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সু চির মুক্তির জন্য কোনো দেশ সেখানে অর্থনৈতিক অববোধ দিচ্ছে না। ব্যবসা-বাণিজ্যও বন্ধ করছে না। কেবল নিউজিল্যান্ড বলেছে, সামরিক জান্তার সঙ্গে তারা ব্যবসা করবে না। অন্যরা সেনাশাসনের সমালোচনা করলেও অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অক্ষুণ্নই রেখেছে।

: এই প্রতিকূল অবস্থায় বাংলাদেশের করণীয় কী?

ইমতিয়াজ আহমেদ: আমি আগেই বলেছি, বহুমাত্রিক উদ্যোগ নিতে হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় যে চুক্তি হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে তাদের চাপে রাখতে হবে। যেসব দেশ মিয়ানমারের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিশেষ করে চীন, জাপান ও ভারতকে বলতে হবে, তোমরা ব্যবসা করো। কিন্তু রোহিঙ্গা সমস্যাটি এর সঙ্গে যুক্ত করো না। মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের বিতাড়িত করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে। তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। সেনাশাসকের জনভিত্তি নেই বলে জনগণের ওপর এখন বেশি নিপীড়ন চালাচ্ছে। এটি আমাদের জন্য যেমন সমস্যা, তেমনি সুযোগও তৈরি করতে পারে। অং সান সু চির সরকারের একটি গণতন্ত্রের মোড়ক ছিল। এখন আর সেটি নেই। সে ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের ওপর চাপ বাড়াতে পারে। আমাদের মনে থাকার কথা, এর আগে যে দুবার রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ফেরত গিয়েছিল, মিয়ানমারে সেনা সরকারের আমলেই।

: এই যে মিয়ানমার বাংলাদেশের ওপর ১১ লাখ রোহিঙ্গার দায় চাপিয়ে দিল। প্রায় চার বছর ধরে তারা এখানে আছে। আমাদের আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও সামাজিক ও পরিবেশের ওপরও বিশাল চাপ সৃষ্টি করেছে। এ জন্য কি বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষতিপূরণ চাইতে পারে না?

ইমতিয়াজ আহমেদ: আন্তর্জাতিক ফোরামগুলোতে মিয়ানমারের এই অন্যায়কে আরও জোরেশোরে বলতে হবে। ক্ষতিপূরণ দাবি করতে হবে। তবে কাজটি করতে হবে মালয়েশিয়া, ভারত, সৌদি আরবসহ আরও যেসব দেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী আছে, তাদের নিয়ে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে রোহিঙ্গা সমস্যাটি ফলাও করে প্রচার করতে হবে। মিয়ানমার রোহিঙ্গা শব্দ ব্যবহার না করলেও কখনো বলেনি, এরা তাদের বাসিন্দা নয়। মানবাধিকার সংগঠন, বেসরকারি সংস্থা ও লেখক-বুদ্ধিজীবীদের আরও সোচ্চার হতে হবে।

: সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পূর্ণ শরণার্থীর মর্যাদা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তাহলে কি দাতা সংস্থাগুলো চাইছে যে তারা এখানেই স্থায়ীভাবে থাকুক?

ইমতিয়াজ আহমেদ: বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনের বিষয়ে সরকার ইতিমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে; প্রত্যাখ্যান করেছে। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে শরণার্থী বিষয়ে ১৯৫১ সালের কনভেনশন ও ১৯৬৭ সালের প্রটোকল—দুটোই হয়েছে ইউরোপের শরণার্থী সমস্যাকে কেন্দ্র করে। সব দেশের শরণার্থী সমস্যার কারণ ও পটভূমি এক নয়। ১৯৫১ সালের কনভেনশনে বলা আছে, শরণার্থীকে জোর করে ফেরত পাঠানো যাবে না। সেই শর্ত তো বাংলাদেশ মেনেই নিয়েছে। এখান থেকে জোর করে কাউকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে না। কোনো অঘটন ছাড়াই ১১ লাখ রোহিঙ্গা এখানে মোটামুটি নিরাপদেই বসবাস করছে। এর পেছনে হয়তো ঐতিহাসিক কারণ আছে। বাংলাদেশ কখনো বিদেশিদের প্রতি বৈরী আচরণ করেনি। বাইরে থেকে যারা এসেছে, তাদের আশ্রয় দিয়েছে। এটি বাঙালির সভ্যতা ও সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য। মেক্সিকো–যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে গুলি করে মানুষ মারা হয়। আমরা তা করিনি। বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে আমিও হেগ-এ আইসিজের শুনানিতে উপস্থিত ছিলাম। সেই শুনানিতে অং সান সু চি কিন্তু বলেননি, রোহিঙ্গারা বাংলাদেশের মানুষ। বলেছেন, এরা আরাকান মুসলমান। আরাকান অঞ্চলটি তো মিয়ানমারের অংশ। আমি বলব, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন দুঃখজনক। তারা সহায়তার নামে আমাদের ওপর কিছু চাপিয়ে দিতে পারে না। মিয়ানমারে ইউরোপীয় বিনিয়োগ আছে। আমেরিকান বিনিয়োগ আছে। বিশ্বব্যাংক এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাদের স্বার্থ রক্ষা করছে কি না, সেই প্রশ্নও উঠবে।

: শরণার্থী নিয়ে যখন কথা হলো, তখন পাকিস্তান ও ইরানে আফগান শরণার্থীর প্রসঙ্গ আসে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার পর সেখানে নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। চুক্তিতে আফগান সরকার ও তালেবানের মধ্যে সমঝোতা প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তালেবান শক্তিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে, বিভিন্ন শহর দখল করে নিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ চিত্রটা কীভাবে দেখেন?

ইমতিয়াজ আহমেদ: প্রথমেই বলতে হবে, আমেরিকান সেনাবাহিনী আফগানিস্তানে ২০ বছর অবস্থান নিলেও পুরো দেশ দখলে নিতে পারেনি। আমেরিকান সেনা ও বর্তমানে আফগানিস্তানে যে সরকার আছে, শহরাঞ্চলে তাদের কর্তৃত্ব ছিল। গ্রামাঞ্চল পুরোটাই তালেবানের দখলে ছিল। সেখানে আফগান সরকারের প্রশাসন কাজ করেনি। তালেবানের পেছনে জনগণেরও সমর্থনও ছিল। এ কারণেই আমেরিকা ২০ বছর থেকেও আফগানদের বশে আনতে পারেনি। জনগণের মন জয় করতে পারেনি। কোনো দখলদারই পারে না। সে ক্ষেত্রে তাদের পাততাড়ি গোটানো অস্বাভাবিক ছিল না।

তবে আমার ধারণা, তালেবানের মধ্যে অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। অন্তত তাদের কূটনৈতিক দক্ষতা দেখে তা-ই মনে হয়। তারা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছে, চীনের সঙ্গে আলোচনা করেছে, ইরানের সঙ্গে আলোচনা করেছে। ২০ বছর আগের তালেবান ছিল পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন। পাকিস্তান ও সৌদি আরব ছাড়া অন্য কোনো দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিল না। আবার দেখার বিষয়, আমেরিকা এত বড় পরাজয় কীভাবে হজম করবে। তালেবান যদি ইসলামি রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েমও করতে চায়, দুটো মডেল আছে। ইরান ও তুরস্ক। সমঝোতা বাদ দিয়ে যুদ্ধের মাধ্যমে সমাধান চাইলে আমেরিকা সহজে ছেড়ে দেবে বলে মনে হয় না। তারা তাদের স্বার্থ রক্ষা করতে চাইবে। আমরা মনে করি, তালেবান অনেক পরিপক্ব হয়েছে। আশা করা যায়, তারা আগের ভুলের পুনরাবৃত্তি করবে না। যদিও ইতিমধ্যে কিছু কিছু প্রতিশোধের ঘটনা ঘটেছে। ভারত, পাকিস্তান, ইরান নিকট প্রতিবেশী। আফগানিস্তানে ভারতের বিশাল বিনিয়োগ আছে। সেই বিনিয়োগ রক্ষা করতে চাইবে। তালেবানের সঙ্গে তাদেরও আলোচনায় বসতে হবে। তবে তাদের ভুল হলো, কাবুল সরকারের ওপর বেশি আস্থা রাখা। আবার পাকিস্তানকেও বুঝতে হবে, আফগানিস্তানে অশান্তি জিইয়ে থাকলে তার জন্য তাদেরও কাফফারা দিতে হবে। দুই দশকে বহু পাকিস্তানি মারা গেছে।

: আফগানিস্তানে আবার তালেবান শাসন জারি হলে বাংলাদেশে তার কী প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করেন? আবার কি ‘আমরা সব তালেবান, বাংলা হবে আফগান’ স্লোগান উঠবে?

ইমতিয়াজ আহমেদ: একটা বিষয় স্পষ্ট। যেকোনো দেশে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠী নিজে নিজে শক্তি সঞ্চার করতে পারে না। সমর্থন বা পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন হয়। ‘আমরা হব তালেবান’ স্লোগান যখন দেওয়া হয়েছিল, তখন ক্ষমতা থেকে পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিগোষ্ঠীর প্রতি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে হোলি আর্টিজান ট্র্যাজেডির পর সরকার তাদের প্রতি শূন্য সহিষ্ণুতা দেখিয়ে আসছে। আমি মনে করি না ‘আমরা সবাই তালেবান, বাংলা হবে আফগান’ স্লোগান এখানে আবার উঠবে। তবে এ ক্ষেত্রেও নজরদারি বাড়াতে হবে, যাতে এখানে কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে।

Source: Prothomalo