ক্লিনিকে বিক্রি হচ্ছিল উত্তর সিটির টিকা

পুলিশ ১৮ আগস্ট রাতে দক্ষিণখানের চালাবন এলাকায় দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থা ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে মডার্নার টিকার দুই ভায়াল (২৮ ডোজ) টিকা ও ২০টি খালি বাক্স উদ্ধার করে। এর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ক্লিনিকের মালিক বিজয় কৃষ্ণ তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই ঘটনায় দক্ষিণখান থানায় তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলায় তাঁকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

দক্ষিণখান থানার পুলিশ রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার বিজয় কৃষ্ণকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে। শুনানি শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

গ্রেপ্তার হওয়া বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার

গ্রেপ্তার হওয়া বিজয় কৃষ্ণ তালুকদার
ছবি: সংগৃহীত

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম শনিবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে বিজয় কৃষ্ণ বলেছেন, করোনার টিকা তিনি অনেকের কাছেই ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। বিজয় কৃষ্ণের কাছ থেকে পাওয়া নথিপত্রে দেখা যাচ্ছে, তিনি ভায়ালগুলো ইউটিপিএসকে বুঝিয়ে দিয়েছেন। ইউটিপিএসও বুঝিয়ে দিয়েছে ডিএনসিসিকে। ভায়ালগুলো আবার সঠিকভাবে গণনা করলে চুরির বিষয়টি ধরা পড়বে।

ডিএনসিসি সূত্র জানায়, ৭ থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত গণটিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এর মধ্যে উত্তর সিটির ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পায় ইউটিপিএস। তারা আবার

সহযোগী হিসেবে তিন প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেয়। সেগুলোর একটি ছিল বিজয় কৃষ্ণের ক্লিনিক।

তবে ইউটিপিএসের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দরিদ্র পরিবার সেবা সংস্থাকে তাঁরা সঙ্গে নিয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির অভিজ্ঞতা দেখে। ইউটিপিএস বিজয় কৃষ্ণের ক্লিনিক থেকে খালি ভায়াল বুঝে নিয়েছে এবং উত্তর সিটিকেও হিসাব বুঝিয়ে দিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সাধারণ মানুষকে প্রতি ডোজে টিকার পরিমাণ কম দিয়ে বাকিটা বিক্রি করেছেন বিজয় কৃষ্ণ।

উত্তর সিটির উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লে. কর্নেল গোলাম মোস্তফা সারোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, প্রতি ডোজে ৫ মিলিলিটার পরিমাণ টিকা দেওয়ার কথা। হয়তো সেটি না করে বিজয় কৃষ্ণের ক্লিনিক ৩ মিলিলিটার করে দিয়েছে।

Source: Prothomalo