গুম-খুনের রাজনীতির শুরু জিয়ার হাতেই: তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির মহাসচিবের বক্তব্য ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর গুমের রাজনীতি শুরু হয়েছে’–এর জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জিয়া তাঁর ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে সেনাসদস্যসহ হাজারো মানুষকে হত্যা করেছেন। কারাগার থেকে ধরে নিয়ে মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ফখরুল সাহেব, রিজভী সাহেবদের মনে রাখা উচিত, জিয়াউর রহমানের হাতে কত মানুষ গুম হয়েছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যায় ওতপ্রোতভাবে জড়িত জিয়া ক্ষমতা দখলের পর যে খুনের রাজনীতি করেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী তৎকালীন ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ বাবু, চট্টগ্রামের মৌলভী সৈয়দও রেহাই পাননি। তাই তাঁর দলের নেতাদের মুখে গুম নিয়ে কথা শোভা পায় না।’

মন্ত্রী এর আগে অনলাইন সেমিনারে বঙ্গবন্ধু হত্যার নেপথ্য তথ্য উদ্‌ঘাটনে সাংবাদিকদের ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘শুধু গুটিকয় বিপথগামী সেনাসদস্যই বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ঘটাননি, এর পেছনের মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিল খন্দকার মোশতাক ও জিয়াউর রহমান। এ ছাড়া যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনের সময় ঈদের জামাতে আওয়ামী লীগের পাঁচজন সাংসদকে হত্যা, বাসন্তীকে জাল পরিয়ে অভাবের বানোয়াট ছবি প্রচার, পাটের গুদামে আগুন দেওয়াসহ দেশবিরোধী নানা চক্রান্ত এবং দেশের স্বার্থে বাকশাল গঠনের সত্যিকারের পটভূমি মানুষের সামনে তুলে ধরতে সাংবাদিকেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’ একাত্তর-পঁচাত্তরের সময়ের সাংবাদিকেরা যাঁরা জীবিত রয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য সংরক্ষণের জন্য এ সময় প্রেস ইনস্টিটিউটকে নির্দেশনা দেন তথ্যমন্ত্রী।

পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচারসচিব মকবুল হোসেন, বিশেষ বক্তা হিসেবে ইতিহাসের অধ্যাপক আবুল কাশেম, মোহাম্মদ হান্নান প্রমুখ সেমিনারে বক্তব্য দেন।

Source: Prothomalo

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries