যখন যে অবস্থা হবে, মানিয়ে চলতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

করোনা মহামারি, ইউক্রেন যুদ্ধ ও যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনের প্রভাবে সারাবিশ্বে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। এ নিয়ে হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। যখন যে অবস্থা হবে, সে অবস্থায় মানিয়ে চলতে হবে। আমাদের যতটুকু ব্যবস্থা আছে, সেটুকু নিয়েই আমরা চলবো।

শনিবার বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক-২০২২ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি উন্নত দেশের অবস্থা করুণ। সেখানে আমরা কোথায়? তারপরও আপনারা প্রত্যেকে স্ব স্ব দায়িত্ব পালন করেছেন বলে আমরা এখনো অনেক দেশ থেকে ভালো আছি। তারপরও প্রত্যেককে সাশ্রয়ী হতে হবে। অহেতুক কোনো সম্পদের অপচয় যেন না হয়, সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা জানি পত্র-পত্রিকায় অনেকে অনেক কথা লিখবে। টকশোতে অনেক কথা বলবে। বিরোধী দলও অনেক কথা বলবে। বলাই তাদের কর্তব্য। আমাদের আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে, সঠিক পথে আছি কি না। ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করছি কি না। সঠিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছি কি না। দেশের সাধারণ মানুষ সেবা পাচ্ছে কি না। সেবাটা নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কে কী বললো, সেদিকে খুব বেশি একটা নজর দিতে হবে না। কে কী বললো সেটা শুনে হয়তো আমরা আমাদের কোনো ঘাটতি আছে কি না, ওইটুকু নেবো। তাদের কথায় যেন কেউ বিভ্রান্ত না হন, হতাশ না হয়ে যান। হতাশাগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই, যখন যে অবস্থা হবে, সে অবস্থায় মানিয়ে চলতে হবে। আমাদের যতটুকু ব্যবস্থা আছে, সেটুকুই নিয়ে আমরা চলবো।

তিনি বলেন, দুই জেলাসহ ৫২টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে পেরেছি। আশা করি শিগগির সারাদেশকেই ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করতে পারবো। প্রত্যেকটা মানুষের জন্য একটু জমি ও একটা ঘর নিশ্চিত করতে পারবো। এটা আমাদের উন্নয়নে সহায়ক হবে।

অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সচিব কে এম আলী আজমসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ