রং করা চুলে যেভাবে যত্ন নিতে হয়

হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার বা রোদ ছাড়াও নানান কারণে রং করা চুল মলিন হয়ে যায়।
কেউ পাকা চুল ঢাকতে, কেউবা চুল নিয়ে খেলতে পছন্দের রং করে থাকেন।

তবে চুলে রং করার পরে অধিকাংশেরই কিছু সাধারণ সমস্যা যেমন- শুষ্কতা, মলিনতা এমনকি চুল পড়ার সমস্যা দেখা দেয়। এছাড়াও, দ্রুত রং হালকা হয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দেয়।

রং করা চুলে সচরাচর যেসব ভুল করা হয় সে বিষয় হেল্থশটস ডটকম’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ধারণা দেন ভারতের ‘ব্লসম কোচার গ্রুপ অফ কম্পানিজ’য়ের পরিচালক ডা. ব্লসম কোচার।

অতিরিক্ত চুল ধোয়া: ঘন ঘন চুল ধোয়া হলে চুলের প্রাকৃতিক তেল হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি অসময়ে রং হালকা হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই রং করা চুল প্রতিদিন না ধোয়াই ভালো।

গরম পানি ব্যবহার: গরম পানি দিয়ে চুল ধোয়া কিউটিকেল উন্মুক্ত করে ফলে রংয়ের অণুগুলো বের হয়ে যায়। তাই চুলে রংয়ের স্থায়িত্ব বাড়াতে, কিউটিকেল আবদ্ধ রাখতে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধোয়া উচিত।

হিট প্রটেকশন বা তাপ সুরক্ষক বাদ দেওয়া: তাপীয় স্টাইলিং যন্ত্র ব্যবহারে চুল দেখতে সুন্দর লাগে। তবে চুলের ক্ষতিও করে। ফলে সহজেই চুলের রং হালকা হয়ে যায়।

সালফেট সমৃদ্ধ পণ্য ব্যবহার: সালফেটযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহারে চুলের রং ও আর্দ্রতা শুষে নেয়। তাই চুলের রং দীর্ঘস্থায়ী করতে সালফেট মুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার করা উপকারী।
চুলের রংয়ের স্থায়িত্ব বাড়াতে ঘরোয়া কিছু উপায় সম্পর্কেও জানানো এই রূপ-বিশেষজ্ঞ।

রং করা চুলের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ‘কালার প্রোটেক্টিং’ শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এসব পণ্য চুলের মলিনতা কমায় ও রং হালকা হওয়া প্রতিরোধ করে।

চুল আর্দ্র রাখতে নিয়মিত ‘লিভ ইন কন্ডিশনার ও হেয়ার মাস্ক’ ব্যবহার করা উচিত। এতে চুল আর্দ্র থাকে, ক্ষয় হ্রাস পায় এবং রং দীর্ঘস্থায়ী হয়।

তাপীয় যন্ত্র যেমন- স্ট্রেইটনার ও কার্লিং আয়রন ব্যবহার রং করা চুলের ক্ষতি করে, রং হালকা হয় এবং শুষ্কতা দেখা দেয়। তাপীয় যন্ত্র ব্যবহার করতে চাইলে আগে অবশ্যই তাপ সুরক্ষক স্প্রে ব্যবহার করে নিতে হবে। এতে চুলের ক্ষতি কিছুটা হ্রাস পায়।

ক্লোরিনযুক্ত পানি এড়িয়ে চলতে হবে। সুইমিং পুলের পানিতে থাকা ক্লোরিন চুলের রং হালকা করে ফেলে। তাই পুলে সাঁতার কাটতে যাওয়ার আগে সাধারণ পানিতে চুল ভিজিয়ে ‘সুইম ক্যাপ’ পরে নিতে হবে। এতে চুলে ক্ষতি কিছুটা কম হবে।

সূর্যালোক থেকে চুল বাঁচাতে টুপি পরা বা ইউভি প্রতিরোধক পণ্য ব্যবহার করতে হবে। কড়া রোদ চুলের উজ্জ্বলতা ও চকচকেভাব নষ্ট করে।

রং করা চুল সহজেই রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। এজন্য তেল ব্যবহার করতে হবে। যা আর্দ্রতা ধরে রেখে চকচকে ও মসৃণভাব বাড়ায়। জলপাইয়ের তেল ব্যবহার চুলের রুক্ষভাব কমিয়ে মসৃণ করে। ফলে চুল সহজেই নিয়ন্ত্রণে থাকে।

Credit:Bd News24