১১পাকুন্দিয়ায় জেলা ছাত্রলীগের দুইগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫

মোঃ মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু,

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপ‌তি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান‌কে ফুল দেওয়া‌কে কেন্দ্র ক‌রে কিশোরগঞ্জ জেলা ছাত্রলী‌গের দুই গ্রæপের ম‌ধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নসহ ৫জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এ ঘটনাটি ঘটে। এর প্রতিবাদে বিকাল ৩টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ অফিসের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে আহত নয়নের সমর্থকরা।

 

জানা গেছে, দীর্ঘ ১৮ বছর পর আজ মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের প্রস্তুতি নিয়েছে স্থানীয় ছাত্রলীগ। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অডিটরিয়ামে আয়োজিত এ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রধান অতিথি ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা। কেন্দ্রিয় নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়ার জন্য পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে জড়ো হন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ উমান খান ও তাদের সমর্থকরা। এছাড়াও একই স্থানে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নের নেতৃত্বে জড়ো হয় অপর একটি গ্রæপ। সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানা ওই এলাকায় পৌছার আগেই দুই গ্রæপের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি ও পরে সংঘর্ষ হয়।

সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়ন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী আরিয়ান আহমেদ বিনয়সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে এর প্রতিবাদে বিকাল ৩টার দিকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনের সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে লুৎফুর রহমান নয়নের পক্ষের নেতাকর্মীরা।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক পাঠাগার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম স্বপন বলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে ফুল দিতে গিয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের লোকজনের দ্বারা হামলার শিকার হয়েছি। এ হামলায় আমি ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠ‌নিক সম্পাদক লুৎফুর রহমান নয়নসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন বলেন, কখন, কোথায় এ ঘটনা ঘটেছে এ সম্পর্কে আমার কোন ধারণা নেই। আমি কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। যারা এই অভিযোগ করেছে তারা মিথ্যা এবং বানোয়াট কথা বলেছে। এমন কোন ঘটনার সম্পর্কে আমার জানা নেই।

পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাহিদ হাসান সুমন বলেন, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে জেলা ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গাড়ি থেকে নেমে দুইপক্ষকে শান্ত করে তিনি তাদের সঙ্গে নিয়ে ইটনা উপজেলায় চলে গেছেন। এখানে সংঘর্ষের কোন ঘটনা ঘটেনি।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ