ভৈরবে ট্রেন দুর্ঘটনায় নান্দাইল উপজেলার প্রাণ হারাল এক পরিবারের সবাই

আমার বাংলাদেশ ডেস্ক  

বড় ভাইয়ের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ময়মনসিংহে যান সুজন মিয়া। ফেরার পথে ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন তিনি, তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আক্তার, তাঁদের ছেলে সজীব মিয়া ও ইসমাইল মিয়া।

 

সুজন মিয়া ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের বনহাটি গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তাঁরা।

নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশেদুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

নিহত সুজনের ভাই স্বপন মিয়া জানান, সুজন মিয়া ঢাকার মোহাম্মদপুর তাজমহল রোড এলাকায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থেকে ভ্যান গাড়িতে ডাব বিক্রি করে সংসার চালাতেন। গত শুক্রবার বড় ভাইয়ের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাড়িতে আসেন। অনুষ্ঠান শেষ করে সোমবার এগারসিন্দুর ট্রেনে করে ঢাকার কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছিলেন। স্বপন মিয়া নিজেও ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। তবে দুর্ঘটনার সময় তিনি পাঁচ নম্বর বগিতে থাকায় বেঁচে যান।

নান্দাইল থানার ওসি জানান, একই পরিবারের চারজনের মরদেহগুলো আইনি প্রক্রিয়া মেনে আনা হবে। তারপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানান, কনটেইনারবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে স্টেশনে প্রবেশ করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এরই মধ্যে চালক, সহকারী চালক এবং ট্রেনের পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ