আদমদীঘিতে চোর সন্দেহে তিন যুবককে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা 

আদমদীঘি
বগুড়া প্রতিনিধি :  
বগুড়ার আদমদীঘিতে চোর সন্দেহে তিন যুবককে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় তিনজনের নামে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে নির্যাতনের শিকার জান্নাতুল নাঈম নামের এক যুবকের বাবা আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে তিনজনের নামে মামলাটি করেন।
ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানাযায়, শনিবার দিবাগত রাতে উপজেলার কদমা গ্রামের রেনুকা নামের এক নারীর বাড়ি থেকে হাঁস চুরির ঘটনায় চোর সন্দেহে একই মহল্লার আশরাফুল ইসলামের ছেলে জান্নাতুল নাঈম, আবু তালেবের ছেলে সাজ্জাদ ও ময়েজ আলীর ছেলে ইমরানকে মোটরসাইকেলযোগে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার রাত ৮টায় তাদের সান্তাহার পৌর শহরের যোগিপুকুর এলাকায় আমজাদ নামের এক ব্যক্তির বাসার ২য় তলায় এনে প্রায় তিন ঘন্টা আটক রেখে বৈদ্যুতিক তার, হাতুড়ি ও রড দিয়ে তাদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতনের বিষয়টি বাহিরে প্রকাশ যেন না করে এজন্য হুমকি  দিয়ে ওইদিন রাত ১১টায় তাদের বাড়ির সামনে রেখে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে আহত যুবকরা নির্যাতনের বিষয়টি পরিবারের কাছে জানালে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এঘটনায় নির্যাতনের শিকার জান্নাতুল নাঈম নামের এক যুবকের বাবা আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে কদমা গ্রামের সিরাজুলের ছেলে সাগর (৩২), করজবাড়ি গ্রামের কায়েম প্রমানিকের ছেলে পাপ্পু (৩২) ও সান্তাহার পৌর শহরের যোগিপুকুর এলাকার আমজাদের ছেলে মামুন হোসেনের (৩৪) নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা করেন। মামলার আসামী মামুন হোসেন মুঠোফোনে জানান, ‘আমার আপন চাচি রেনুকার  চুরির অভিযোগে আমার ফুফাতো ভাই পাপ্পু ও সাগর ওদের ধরে নিয়ে এসেছিল। আমি শুধু তাদের চুরি যাওয়া মাল ফিরিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলাম।’ আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম রেজা মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য তৎপরতা চলছে।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ