বগুড়ায় নৈশপ্রহরী হত্যা মামলার রায় দিয়েছেন আদালত 

শিমুল হাসান,
( বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ায় চুরির করতে দেখে ফেলায় বারপুরের দোয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের নৈশ প্রহরী শাহাদৎ আলী (৬৫) কে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৫ আসামির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরো ৬ মাস করে সশ্রম কারাদন্ডদেশে দেয়া হয়েছে। বগুড়ার অতিরিক্ত দায়রা জজ হাবিবা মন্ডল আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এই মামলার রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো বগুড়া সদর উপজেলার দশটিকার মৃত মেরাজুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল ইসলাম(৩৩), মৃত মন্টু ওরফে জহুরুলের ছেলে এনামুল হক (৩২), ধুলু ওরফে আমিনুর ইসলামের ছেলে রাসেক ওরফে রাশেদ (৩৭), কুকরুল দক্ষিণপাড়ার দুলালের ছেলে অবুঝ (৩৩) ও আবুল কালাম আজাদের ছেলে আঃ মজিদ(৪১)। সাজাপ্রাপ্ত আসামি অবুঝ ও মজিদ পলাতক আছে এবং গ্রেফতারের পর হতে তাদের সাজা কার্যকর হবে মর্মে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, বগুড়ার বারপুর দক্ষিণপাড়ার শাহাদৎ আলী বারপুর দোয়েল ইঞ্জিনিয়ারিং ওর্য়াকসপে নৈশ প্রহরী হিসাবে কাজ করতো। গত ২০২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে নৈশ প্রহরী হিসেবে ওই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পালনকালে রাত আড়াইটার দিকে আসামিরা চুরি করার জন্য প্রবেশ করে। এঘটনা দেখে ফেলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা নৈশ প্রহরী শাহাদৎ আলীকে মারপিটসহ শাসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এসময় ওই প্রতিষ্ঠানের অপর নৈশ প্রহরী সোলেমাসের চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসে। এব্যাপারে নিহত শাহাদৎ আলীর ছেলে বাদি হয়ে বগুড়া অজ্ঞাতনামা আসামি উল্লেখ করে এই হত্য মামলা দায়ের করে। পুলিশ আসামি আশরাফুল ইসলামকে গ্রেফতার করলে সে হত্যাকান্ডের ঘটনা স্বীকার করে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দি প্রদান করে অপর আসামিদের নাম বলে। পুলিশ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মুহাঃ আতিয়ার রহমান মামলাটি তদন্ত শেষে অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযেগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি এড. মোঃ নাছিমুল করিম হলি এবং আসামি পক্ষে এড. মাছুদুর রহমান মাসুদ ও স্টেট ডিফেন্স এড. ছানোয়ার হোসেন।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ