নিজ বসত ভিটায় ঘর তুলতে বাধা প্রতিপক্ষের

মো. মঞ্জুরুল হক মঞ্জু

পাকুন্দিয়া  প্রতিনিধি:
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় নিজ বসত ভিটায় ঘর তুলতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই বাড়ির প্রতিপক্ষ আবুল কালামের বিরুদ্ধে। আবুল কালাম মৃত আহমেদ হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগী মৃত হাদীউল ইসলামের অসহায় পরিবারটি। এছাড়াও উল্টো অসহায় পরিবারের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে প্রতিপক্ষ। পাকুন্দিয়া পৌরসভার মধ্য পাকুন্দিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে, একই বাড়ির হাদিউল ইসলাম মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ছয় মাস আগে মারা যান। হাদিউল ইসলাম পৈত্রিক সূত্রে পাকুন্দিয়া মৌজার সাবেক ১০৭১ দাগে (বর্তমান ২৫৮৪ দাগ) একটি টিনের ঘরসহ নয় শতাংশ জায়গা পান। ঘরটিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। ঘরটি অনেক পুরাতন হওয়ায় বাস অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই ঘরটি ভেঙ্গে সেখানে নতুন করে একটি টিনের ঘর নির্মাণ করছিলেন হাদিউল ইসলাম। ঘরটির নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে ছিলো। এসময় এতে বাধা দেয় আবুল কালাম। ফলে তিন বছর ধরে আটকে আছে ঘরটির নির্মাণ কাজ। এ নিয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ-দরবার হলেও কোন সমাধান পায়নি পরিবারটি।
শনিবার দুপুরে (২০ জানুয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, তিন বছর ধরে নির্মাণাধীন ঘরটি পাকা পিলারের ওপর দাড়িয়ে আছে। ২২টি পাকা পিলার ও কাঠের তৈরি ছাউনি রোদে পুড়ে ও বৃষ্টিতে ভিজে নষ্ট হচ্ছে। ঘরটির সামনের উঠানে পুরোনো ঘরের টিন দিয়ে তৈরি একটি একচালা ঘর। ঘরটিতে তিন বছর ধরে মানবেতর জীবন পার করছে পরিবারটি।
এসময় কথা হয় মধ্য পাকুন্দিয়া গ্রামের রিয়াজ উদ্দীন, হেলাল উদ্দীন, বজলুর রহমান ও মাসুদ রানার সঙ্গে। তারা বলেন, ছোট বেলা থেকেই আমরা দেখে আসছি পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ঘরটিতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন হাদীউল ইসলাম। সেই ঘরটি ভেঙ্গে সেখানে একটি নতুন ঘর নির্মাণ করছিলেন। এসময় নিজের জায়গা দাবি করে ঘর নির্মাণে বাধা দেয় আবুল কালাম।
মৃত হাদীউল ইসলামের বড় ভাই মো. সিরাজ উদ্দীন বলেন, সিএস ও এস এ রেকর্ড মূলে ১০৭১ দাগে পৈত্রিক সূত্রে আমার বাবা নুরুল ইসলাম বাড়িতে নয় শতাংশ জায়গা পান। ওই জায়গায় একটি টিনের ঘর নির্মাণ করেন তিনি। বাবার মৃত্যুর পর বাড়ি বন্টনের সময় ওই ঘরটিসহ নয় শতাংশ জায়গা পায় হাদিউল ইসলাম। ওই ঘরেই সে বসবাস করে আসছিল।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আবুল কালাম বলেন, বর্তমান মাঠ পর্চায় বিএস রেকর্ড মোলে এই জায়গার মালিক আমি। তাই ঘর নির্মাণে বাধা দিয়েছি।
পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র মো. নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, এ নিয়ে একাধিক সালিশ দরবার হয়েছে। কিন্তু আবুল কালাম কোন দরবারই মানেনি। ফলে কোন সমাধানে পৌঁছানো যায়নি।

 

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ