পাকুন্দিয়ায় গৃহবধুর আত্মহত্যা

মোঃ মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু,

পাকুন্দিয়া  প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দেবরের নির্যাতনে সাবিনা আক্তার ২৭ নামের এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে নিহতের স্বজনরা।

শুক্রবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেলেও আজ শনিবার সকালে তা জানাজানি হয়।

সাবিনা আক্তার উপজেলার সুখিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের প্রবাসী সুজন মিয়ার স্ত্রী। সুজন মিয়া মালয়েশিয়ায় থাকেন।

ওই নারীর পরিবারের লোকজন জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে উপজেলার দক্ষিণ চরটেকী গ্রামের মীর কাশেম আলীর মেয়ে সাবিনা আক্তারকে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয় একই উপজেলার সুখিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ইছব আলীর ছেলে সুজন মিয়ার সঙ্গে। বর্তমানে তাদের সংসারে ছামিয়া ৮ ও সাজিদ ৩ নামের দুটি সন্তান রয়েছে। স্বামী সুজন তিন বছর আগে চাকুরী নিয়ে মালয়েশিয়ায় চলে যান। সাবিনা শ্বশুড় বাড়িতেই দুই সন্তান নিয়ে বাস করতেন। সুজন বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই সাবিনার ওপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন। একপর্যায়ে গত বুধবার রাতে সাবিনাকে মারধর করে দেবর সজিব ও তার বড় বোন ফাতেমা। রাগে ক্ষোভে বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সাবিনা। পরে শ্বশুড় বাড়ির লোকজন পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লরে শুক্রবার দুপুরে তিনি মারা যান।

সাবিনার বাবা মীর কাশেম বলেন, সুজন বিদেশ যাওয়ার পর থেকেই সুজনের ছোট ভাই সজিব ও বড় বোন ফাতেমা আমার মেয়েকে নানা বিষয় নিয়ে মারধর করতো। গত বুধবার রাতে আবারও তাকে মারধর করে ওই দুইজন। পরে রাগে ক্ষোভে আত্মহত্যার জন্য বিষ পান করে সাবিনা। আমরা এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এদিকে সুজনের পরিবারের লোকজন পলাতক থাকায় এ বিষয়ে কারও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আছাদুজ্জামান টিটু বলেন, ময়না তদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ