পাকুন্দিয়ায় মাদরাসার অধ্যক্ষের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মোঃ মুঞ্জুরুল হক মুঞ্জু,

পাকুন্দিয়া প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বারাবর সিনিয়র মাদসার অধ্যক্ষ কাজী মাওলানা আ. হাই আল হাদীর ওপর হামলা ও তার বাড়িঘর ভাঙচুরের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

আজ রবিবার (৪ ফেব্রæয়ারি) দুপুরে পাকুন্দিয়া পৌরসদর ঈদগাহ গেইটের সামনে এলাকাবাসির ব্যানারে কিশোরগঞ্জ-ঢাকা সড়কে ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়।

মানববন্ধনে এলাকাবাসির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে এতে অংশ নেয় উপজেলার বেশকয়েকটি মাদরাসার সুপার-অধ্যক্ষ, কাজি ও শিক্ষক-শিক্ষার্থী। এ সময় অধ্যক্ষ আল হাদীর বাড়িতে হামলাকারিদের আইনের আওতায় এনে দ্রæত বিচারের দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, মঙ্গলবাড়িয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মো. গোলাম রাব্বানী, বারাবর সিনিয়র মাদরাসার সহকারি অধ্যক্ষ মাওলানা আ. রহিম ও সহকারি অধ্যাপক আতাউর রহমান নোমানী, কিশোরগঞ্জ জেলা কাজী সমিতির উপদেষ্টা মাওলান সিরাজ উদ্দিন, সভাপতি মাসুদুল আলম হারুন, সাধারণ সম্পাদক এমএ মান্নান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা অলি উল্লাহ রব্বানী প্রমুখ।

উল্লেখ্য যে, উপজেলার বারাবর সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ ও কিশোরগঞ্জ জেলা কাজী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মাওলানা আ. হাই আল হাদীর সঙ্গে পাশের বাড়ির ফজর আলী গংদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা চলে আসছিল। সম্প্রতি আল হাদীর পক্ষে মামলার রায় দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত ৩১ জানুয়ারি উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি তানিয়া আক্তার একদল পুলিশসহ সরেজমিনে গিয়ে আল হাদীকে জমির দখল বুঝিয়ে দিয়ে লাল পতাকা পুতে দেন। এর জেরে ওই দিন বিকেল ৩টার দিকে প্রতিপক্ষ ফজর আলীর নেতৃত্বে একই এলাকার আপন মিয়া, সুজন মিয়া, কদ্দুছ মিয়া ও পাপ্পু মিয়াসহ একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আল হাদীর ওপর হামলা ও তার বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে। এছাড়াও সন্ত্রাসীরা মাদরাসা অফিসে ঢুকে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, বিবাহ ও তালাক রেজিষ্ট্রি করণের বহিসহ অন্যান্য মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত অধ্যক্ষ আ. হাই আল হাদী কিশোরগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

পাকুন্দিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আছাদুজ্জামান টিটু বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে গত ১ ফেব্রæয়ারি থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়েছিল। তবে বাড়িঘর ভাঙচুরের বিষয়ে এখনও থানায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ