পাকুন্দিয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহতের ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ৩

পাকুন্দিয়া  প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল মালেক ৭৫ নামে এক বৃদ্ধ নিহতের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। মামলার পর আজ মঙ্গলবার ৬ ফেব্রæয়ারি ভোরে এ মামলায় প্রতিপক্ষের এক নারীসহ ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার পশ্চিম কুমারপুর গ্রামের আবদুল সালামের ছেলে হাদিউল ইসলাম ৫৫, একই গ্রামের আ. কাদিরের ছেলে ইউপি সদস্য জহির রায়হান শিহাব ৩৮, পূর্ব কুমারপুর গ্রামের রেনুর মিয়ার স্ত্রী আম্বিয়া খাতুন ৫০। তাদেরকে আজ মঙ্গলবার ৬ ফেব্রæয়ারি দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার দিবাগত গভীর রাতে নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম রানা বাদি হয়ে ১৪জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫-৬জনকে আসামি করে পাকুন্দিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এর আগে রবিবার ৪ ফেব্রæয়ারি দুপুরে উপজেলার পূর্ব কুমারপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের লোহার রড ও শাবলের আঘাতে আবদুল মালেক নিহত হন।

নিহত আবদুল মালেক উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের পূর্ব কুমারপুর গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে এবং এলাকায় তিনি বেসরকারী ভূমি জরিপকারি সার্ভেয়ার হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আবদুল মালেকের সঙ্গে জমিজমা নিয়ে পাশের বাড়ির আজিজুল গংদের বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে রবিবার সকাল ১১টার দিকে গ্রামীন শালিস দরবার বসে। শালিস দরবারটি শেষ হয় দুপুর ২টা দিকে। শালিস শেষে আবদুল মালেক নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন। এ সময় প্রতিপক্ষের লোকজন আবদুল মালেকের পথরোধ করে গালাগাল করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের রমিজ উদ্দিন, আম্বিয়া খাতুন ও কানন আক্তারের হুকুমে আজিজুল, ছোটন ও রফিক লোহার ও শাবল দিয়ে আবদুল মালেকের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার অবস্থায় আশংকাজনক হওয়ায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

পাকুন্দিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আসাদুজ্জামান টিটু জানান, এ মামলায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় ইউপি সদস্য জহির রায়হানকে সন্দেহজনক আসামী করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

 

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ