কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার মাঠের নাম করণের ইতিহাস

আমিনুল হক সাদী: কঠোর নিরাপত্তাবলয়ের মধ্য দিয়ে কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়েগেছে ১৯৭ তম দেশের বৃহত্তম ঈদ জামাত। এবারে সাত লাখ মুসল্লির উপস্থিতিতে জনস্রোতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার মাঠ। মাঠের ভেতরের কাতার উপচে বাইরে রাস্তা ঘাট বাসা বাড়ির অলিগলিতেও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দান। নামাজ শেষে মুনাজাতে বিশ্বশান্তি ও দেশের সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া করেন মাঠের বিকল্প ইমাম বড় বাজার জামে মসজিদের খতিব মাও শোয়াইব বিন আব্দুর রউফ ।

বৃহস্পতিবার ভোরের আলো ফোটার আগেই নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয় শোলাকিয়া ও আশপাশের এলাকা। চার স্তরের নিরাপত্তাবেষ্টনী পার হয়ে মুসল্লিদের ঢুকতে হয় ঈদগাহ মাঠে। মাঠে প্রবেশের ক্ষেত্রে মুসুল্লিদের খানিকটা দেরি হয়। তারপরও সকাল ৯টার আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় শোলাকিয়া। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে ছাতা, লাঠিসোঁটা, দিয়াশলাই কিংবা লাইটার নিয়ে মাঠে প্রবেশে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা ছিল। ফলে এসব রেখে মুসল্লিদের ঈদগাহে প্রবেশ করতে হয়েছে।

মুসল্লিদের ঢল শুরু হয় ভোর থেকেই। জেলা শহরের পূর্বপ্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরের এ ঈদগাহ মাঠে। ঈদগাহমুখী সব রাস্তাঘাট মুসল্লিদের চলাচলে কয়েক ঘণ্টার জন্য শহরের সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জামাত শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেই সাত একর আয়তনের শোলাকিয়া মাঠ কানায় কানায় ভরে যায়। মুসল্লিদের অনেককে মাঠে জায়গা না পেয়ে পার্শ্ববতী রাস্তা, তিনপাশের ফাঁকা জায়গা, নদীর পাড় ও আশপাশের বাসাবাড়ির ছাদে উঠে জামাতে শরিক হতে দেখা যায়। রাস্তাঘাট বাসা বাড়ির ছাদ মিলিয়ে ধারণা করা হয় সাত লাখ মুসল্লি জামাতে অংশ নেন।

নামাজ শুরুর আগে মুসল্লিদের স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ঈদগাহ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান ও কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ মিয়া।

দেশের বৃহত্তম এ ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে মাঠ ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় হস্ত, কারু ও নানারকম শিল্পের মেলা মুসল্লিদের জন্য ছিল অন্যতম আকর্ষণের বিষয়। মাঠের সুনাম ও নানা জনশ্রুতির কারণে ঈদের কয়েক দিন আগেই কিশোরগঞ্জের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও সারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে শোলাকিয়ায় মুসল্লিদের সমাগম ঘটে। তাদের অনেকেই উঠেছিলেন হোটেলে, কেউবা আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে ও শোলাকিয়া ঈদগাহ মিম্বরে। জেলার মসজিদগুলোতে নামাজ আদায় না করে সবাই মাঠে নামাজ আদায় করলে এরকম মাঠ আরও চারটি দরকার। শুধু মাঠ বড় হলেই হবে না ইতিহাস ওইতিহ্য বড় হতে হবে। দিনাজপুরের ঈদগাহর ময়দান দেখে অনেকেই দেশের সবচে বড় ঈদগাহ মনে করেন। প্রকৃতপক্ষে সেটি খুব বেশি দিন আগের মাঠ নয়। জেলার সচেতন মহল মনে করেন সে মাঠ কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়ার কাছে যেতে ২৫০ বছর সময় লাগবে। আর তখন শোলাকিয়ার বয়স হবে ৫০০ বছর। যারা দিনাজপুর কে হাইলাইটস করছে তারা জানেনা এ মাঠের ঐতিহ্য কি? কিশোরগঞ্জের সকল মসজিদে ঈদের নামাজ হওয়ার পরও লাখ লাখ মুসুল্লি এখানে নামাজ আদায় করে থাকেন । তাই ইতিহাস ওইতিহ্যর প্রাচীন এই শোলাকিয়ার মাঠটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যময় স্থান হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদানের জন্য দাবি জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জ আরকিওলজিকাল সোসাইটির সভাপতি আমিনুল হক সাদী। এছাড়াও শোলাকিয়া মাঠের পরিধি বৃদ্ধি এবং আরও উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়ার এখনই সময় বলে মনে করেন মুসুল্লিরা।

প্রায় সাত একর জায়গার মধ্যে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইতিহাস ও নামকরণ নিয়ে অনেক প্রকার মত অভিমতও রয়েছে। মাঠের কে প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা তা নিয়ে মতানৈক্য থাকলেও সবার গর্বের বিষয় এ মাঠ শুধু কিশোরগঞ্জেরই না সারা বিশ্বের। শোলাকিয়া সাহেব বাড়ির সন্তান লেখক ডক্টর সৈয়দ আলী আজহার রচিত “ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ”গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন, শোলাকিয়া সাহেব বাড়ির পূর্ব পুরুষ শাহ সুফী মরহুম সৈয়দ আহম্মেদ ১৮২৭ খ্রিষ্টাব্দের শোলাকিয়া সাহেব বাড়িতে সর্বপ্রথম একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেন এবং সুদূর ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া ‘সাহেব বাড়ির পূর্বপুরুষ সুফি সৈয়দ আহমেদ তার নিজস্ব তালুকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে তার প্রতিষ্ঠিত মাঠে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমেদ নিজেই। মোনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে ‘সোয়া লাখ’ কথাটি ব্যবহার করেন। আরেক মতে, সেদিনের জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার (অর্থাৎ সোয়া লাখ) লোক জমায়েত হয়। ফলে এর নাম হয় ‘সোয়া লাখি’। পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া নামটি চালু হয়ে যায়।

তিনি গ্রন্থটির ৭৭ পৃষ্ঠায় লিখেন, দুই ঈদের জামাত শুরুর আগেই শোলাকিয়া সাহেব বাড়ির পুর্ব পুরুষদের মাঠে নেওয়ার জন্য হয়বতনগরের দেওয়ান বা জমিদার বাড়ি থেকে শোলাকিয়া সাহেব বাড়িতে হাতী পাঠানো হতো এবং মাঠের প্রথম কাতার শোলাকিয়া সাহেব বাড়ির পূর্ব পুরুষদের জন্য সংরক্ষণ করে রাখা হতো। দ্বিতীয় কাতার ছিলো জংগলবাড়ির জমিদারদের জন্য এবং তৃতীয় কাতার নির্ধারিত ছিলো হয়বতনগরের দেওয়ান বা জমিদার বাড়ির প্রতিনিধিদের জন্য।

জংগলবাড়িতে বসবাসকারী ঈশা খাঁর পনের তম পুরুষ দেওয়ান জামান দাদ খাঁ বলেন, ছোট বেলায় মাঠে দেখেছি অনেক মোটা আকারের কিত্তা ছিলো,সেগুলো এখন আর নেই। আমাদের জংগলবাড়ির শেষ জমিদার দেওয়ান আজিম দান খানের নামে অনেক জায়গা তপে হাজরাদি পরগনাধীন ইয়াগুজাস্তি ইমদাদ বাদশাহী লাখেরাজ সম্পদের অন্তর্ভুক্ত। এরমধ্যে কাদিরজংগল ও কিশোরগঞ্জ মৌজাও রয়েছে। মাঠের জায়গা সে বাদশাহী স্টেটে আছে কীনা গবেষণার দাবী রাখে।

আবার কেউ কেউ বলেন, মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া সেখান থেকে শোলাকিয়া। পরবর্তিতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় হয়বত নগরের জমিদার দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ এই ময়দানকে অতিরিক্ত ২.৩৫ একর জমি দান করেন।

ঢাবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. আয়শা বেগম রচিত ‘কিশোরগঞ্জের স্থাপত্যিক ঐতিহ্য’ গ্রন্থের ১১০ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে

শোলাকিয়া ঈদগাহটি ১৮২৭ সালে ঈশা খানের ১২ তম পুরুষ জংগলবাড়ির জমিদার দেওয়ান আজিম দাদ খান ও দেওয়ান রহমান দাদ খান প্রতিষ্ঠা করেন। আরেক মতে সতের দশকে হয়বতনগর সাহেব বাড়ির জমিদার হয়বত খা বা দেওয়ান শাহনেওয়াজ খা প্রতিষ্ঠা করেন। অতপর সেই ময়দানে প্রথম বড় ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয় ১৮২৮ সালে। এ জামাতে ইমামতি করেন শাহ সুফি সৈয়দ আহমদ।

১৮২১ খ্রিস্টাব্দের পর জৌনপুরের বিখ্যাত আলেম মাওলানা কেরামত আলী জৌনপুরী (রহ) হয়বতনগরে আগমন করেছিলেন। তিনি হয়বতনগরের তৎকালীন জমিদার দেওয়ান শাহ নেওয়াজ খানকে হোসেনী দালানের যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়ে মসজিদ হিসাবে দালানটি ব্যবহার করার অনুরোধ করেন। ফলশ্রুতিতে তিনি ইমামবাড়াটিকে মসজিদে রুপান্তরিত করেন। যেটি এখন হয়বত নগর সাহেব বাড়ি মসজিদ বলে ইতিহাসে পরিচিত পেয়েছে।

হয়বতনগরের জমিদার দেওয়ান হয়বত খান, দেওয়ান শাহনেওয়াজ খান, দেওয়ান খোদা নেওয়াজ খান ও সৈয়দ আবদুল্লাহের বংশধর সৈয়দ রাফাত বলেন, মাও. কেরামত আলী হাজী শরীয়তউল্লাহ প্রবর্তিত ফরায়েজি আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। ফরায়েজিরা বৃটিশ শাসিত ভারতবর্ষকে দারুল হরব হওয়ার অজুহাতে জুমা ও ঈদের নামাজ আদায় করত না। পক্ষান্তরে কারামত আলী রহ. মনে করতেন ভারতবর্ষ যদিও দারুল ইসলাম নয়, তবে দারুল হরবও নয়;বরং ভারতবর্ষ হচ্ছে দারুল আমান। কারণ বৃটিশরা মুসলমানদেরকে স্বাধীনভাবে ধর্ম পালন করতে দেয়। এ বিষয়ে তিনি ফরায়েজিদের সাথে বিতর্ক করে তার মত প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হন। তাই হয়বতনগরের দেওয়ানদেরকে কারামত আলীর প্রভাবে প্রভাবান্বিত করে প্রকাশ্যে বড় ঈদ জামায়াতের আয়োজনেও প্রভাকর ভূমিকা পালন করেছিলেন তিনি। সে সময়ে সর্ব প্রথম ঐ জামায়াতে সোয়া লাখ মানুষে একত্রিত হয়ে মাঠে ঈদ জামায়াত আদায় হয়েছিলো। আর এ কারণেই সোয়ালাখ থেকে কালের বিবর্তনে শোলাকিয়া নাম করণ হয়।

জৌনপুরী রহ. জংগলবাড়িছাড়াও এতদাঞ্চলে ইসলামের প্রচার প্রসারে ও দাওয়াতী কাজে বেশ কয়েকবার এসেছিলেন তা বিভিন্ন লেখকের বই ও ইতিহাস ঘেটে জানা যায়। ২০১০ সালে লেখক আমিনুল হক সাদীর প্রকাশিত মহিনন্দের ইতিকথা গ্রন্থের ১৩৪ পৃষ্ঠায় মহিনন্দের পুরনো মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠের ইতিহাস বিশ্লেষণে লিখেন, মাও.কেরামত আলী জৌনপুরী রহ. দ্বীনি দাওয়াত প্রচারকালীন সময়ে পথিমধ্যে নরসুন্দা নদীর থেকে জেগে ওঠা চরে আঠার শতকে প্রতিষ্ঠিত মহিনন্দের চরপাড়া জামে মসজিদে অবস্থান করেন এবং সেখানে জুম্মার নামাজ আদায় করেন। শুধু তাই না করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়ায় জন্মগ্রহণ কারী বাংলা ভাষার পন্ডিত বিখ্যাত পুথিকার মুন্সী আজিমুদ্দিন হানাফি রহ. এর ধর্মীয় গুরু বা পীর ছিলেন তৎকালীন প্রখ্যাত আলেম মাওলানা কেরামত আলী জৌনপুরী রহ.। পীরের সাথে সাক্ষাত ও আসা যাওয়ার বিষয়টি তার জীবন ইতিহাসের গ্রন্থেও পাওয়া যায়। জৌনপুরী রহ. জীবদ্দশায় বেশ কয়েকবার কিশোরগঞ্জে, হয়বতনগর, বৌলাই ও জংগলবাড়ি ধর্মীয় সভায় ওয়াজ নসীহত করতে এসেছিলেন বলেও জানা গেছে।

হয়বতনগরের শেষ জমিদার দেওয়ান মোঃ মান্নান দাদ খান ১৯৫০ সনে ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহের নামে ২ একর ৩৫ শতাংশ জমি ওয়াকফ দলিল করেন। দলিল মতে ঐ সময়ের আরও ২শ বছর আগে অর্থাৎ ১৭৫০ সাল থেকে এ ঈদগাহে দুটি ঈদের জামায়াত অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিল। সে হিসেবে এ মাঠটি পৌনে তিন শ বছরের প্রাচীন প্রমার্নিত হয়। দলিলে তিনি আরও উল্লেখ করেছেন এর আগে এ মাঠের ওয়াকফ সম্পদে পূর্বের কোনো লিখিত দলিল না থাকায় বিধায় এবং লিখিত কোনো নিয়মাবলি না থাকায় কেন্দ্রীয় ওয়াকফ বিধান মতে উক্ত ওয়াকফ কমিশনার অফিসে নাম ভুক্ত করা যাচ্ছিল না বিধায় তিনি এ দলিল করে দিয়েছিলেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি নিজেও এ মাঠের মুতাওয়াল্লী ছিলেন এবং তার পুর্ব পুরুষগণও মুতাওয়াল্লী ছিলেন বলে লিপিবদ্ধ রয়েছে। হয়বতনগর জমিদার বাড়ির তৎকালীন জমিদার সৈয়দ মোঃ আবদুল্লাহ ১৮২৯ সন হতে ১৯১২ সন পর্যন্ত এই শোলাকিয়া মাঠে ইমাম ছাড়াও তিনি এই ঈদগাহের মোতাওয়াল্লী ছিলেন। পর্যায়ক্রমে হয়বতনগর জমিদার পরিবার থেকে মোতাওয়াল্লী নিযুক্ত হয়ে আসছে। সর্বশেষ মোতাওয়াল্লী ছিলেন এই জমিদার পরিবারেরই সদস্য দেওয়ান ফাত্তাহ দাদ খান মঈন। বর্তমানে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে মাঠ পরিচালনা হচ্ছে। ২০০৯ সাল থেকে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠ কমিটির প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমান কমিটিতে পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো:আবু রাসেল দায়িত্ব পালন করছেন।

প্রায় সাত একর জায়গার মধ্যে অবস্থিত শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের ইতিহাস অনেক গর্বের বিষয়। এ মাঠ শুধু কিশোরগঞ্জেরই না সারা বিশ্বের ঐতিহ্য। মাঠটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যময় স্থান হিসেবে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি প্রদান এখন সময়ের দাবি।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ