কিশোরগঞ্জে বৈধ ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার: কিশোরগঞ্জেবৈধ ওয়ারিশ থেকে বঞ্চির’র প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। শনিবার (১ জুন) দুপুরে জেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মাসুদুল হাসান।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন আমি কিশোরগঞ্জ পৌরসভার একজন স্থায়ী বাসিন্দা। আমার পিতা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সমৃদ্ধ আওয়ামীলীগের একজন একনিষ্ঠ কর্মী ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন। আমার ছোট ভাই ফাহাদুল হাসান জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি ছিল এবং বর্তমানে জীবিকার তাগিদে প্রবাসে অবস্থান করছে। অপর ভাই আবু ইউসুফ মোঃ শাহেদুল হাসান ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানীতে কর্মরত আছে। তিন বোন বিবাহিত এবং তারা স্বামীর সংসারে আছে। আমাদের মা-বাবা বেঁচে নাই। আমার পিতা পাগলা মসজিদের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মৃত্যুর প্রাকক্ষাল পর্যন্ত পাগলা মসজিদের উন্নয়নের জন্য নিরলস ভাবে প্রচেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। আজকের এই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মাননীয় জেলা প্রশাসক ও সভাপতি ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ কমিটি, কিশোরগঞ্জ মহোদয়ের নিকট আকুল আবেদন থাকবে মসজিদের গোরস্থান সংলগ্ন আমাদের দাদা মরহুম মীর হোসেন ও দাদী আয়েশা আক্তারের সঠিক উত্তরাধিকারী ও ওয়ারিশানদের সত্য, স্বার্থ ও মালিকানা বিবেচনা করে এবং প্রত্যেকের সঠিক কাগজ পত্রাদি পর্যালোচনা করিয়া পবিত্র পাগলা মসজিদের জায়গা ক্রয় করিবেন।

উল্লেখিত আমার পিতা মরহুম আঃ রাজ্জাক সাহেবের মালিকানাধীন মোট ৫টি দাগে মোট ১৪২.৬৮ শতাংশ ভূমি বিদ্যমান। তন্মধ্যে আমার ৪ চাচা যথাক্রমে মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আমির হোসেন আমু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন লিটন ও ৬ ফুফু পরস্পর যোগসাজসে আমার পিতা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক সাহেব, চাচামৃত শুরুর মাহমুদ এবং এক ফুফু শামসুন্নাহার কে বা তাদের ওয়ারিশনাদের বাদ দিয়ে একতরফা ভাবে একটিবন্টন নামা সৃষ্টি করিয়া আমাদের বৈধ ওয়ারিশ থেকে বঞ্চিত করে। উক্ত বণ্টননামা দলিল আমার ৪ চাচা, ৬ ফুফুর বসত বাড়ীর অংশের বিনিময়ে উক্ত ভূমিতে তাদের প্রাপ্য হিস।। ৪৫ শতাংশের সহিত ১৯ শতাংশ ভূমি অতিরিক্ত সহ- মোট ৬৪ শতাংশ ভূমি রোজস্ট্রি বন্টননামা দলিল সম্পাদন করে দেন। ইতিপূর্বে বণ্টননামা দলিল সৃষ্টির পরও আমাদের নিকট থেকে দুই দফায় ০৫ শতাংশ ভূমি আমার মা সহ ভাই বোন, এবং ৪ চাচা সহ ভাই বোন ০৫ শতাংশ ভূমি পাগলা মসজিদ বরাবরে দলিল মূলে হস্তান্তর করি। ইহাতে প্রমানিত হয় যে, আমরা ও স্বত্বের অধিকারী। বর্তমানে মুসলিম ফরায়েজ মোতাবেক আমার মরহুম পিতা আপব্দুর রাজ্জাক সাহের প্রাপ্য হিস্যা দ্বারায় ১৫.৩৮ শতাংশ যার মধ্যে পুত্রহীন চাচার হিস্যা বিদ্যমান। উক্ত ১৫.৩৮ শতাংশ ভূমি থেকে ১০ শতাংশ ভূমি পাগলা মসজিদ কমিটির নিকট বিক্রয় করিবার পরও আমাদের ৫.৩৮ শতাংশ ভূমি বিদ্যামন রহিয়াছে। বর্তমানে আমার চাচারা কোন এক অদৃশ্য শক্তির বলে আমার মরহুম পিতার হিস্যা পাগলা মসজিদ কমিটির নিকট বিক্রয় করার পায়তার। করিতেছে, অবশ্য আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে অদৃশ্য শক্তির বল প্রয়োগে প্রাপ্য হিস্যা থেকে হরহামেশাই বঞ্চিত হচ্ছে। আমি জেলা প্রশাসক মহোদয় ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাবরে বারবার আবেদন ও যোগাযোগ করেও উক্ত বিষয় থানার সুরাহা করতে ব্যর্থ হয়ে আমার মরহুম পিতা আব্দুর রাজ্জাক সাহেবের ওয়ারিশ হিসাবে উক্ত সংবাদ সম্মেলন করতে বাধ্য হয়েছি। পরিশেষে আমাদের নিবেদন থাকবে ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের সুনাম, ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য ও পবিত্রতা রক্ষার্থে আমরা যেনো আমাদের ন্যান ও বৈধ ভূমির হিস্যা থেকে বঞ্চিত না হই। প্রতারক চক্র যেনো তাদেরকে ঠকাতে না পারে, এই ব্যাপারে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগীতা কামনা করেন ভুক্তভোগী পরিবার।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ