সাংবাদিককে ‘স্টুপিড’ বললেন করিমগঞ্জ কলেজের অধ্যক্ষ

নিউজ ডেস্ক

এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের জন্য কলেজের গেট কয়টায় খুলে দেয়া হবে, জিজ্ঞেস করায় এক সাংবাদিককে ‘স্টুপিড’ বললেন করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আজিজ আহমেদ হুমায়ুন। প্রশ্ন করায় ওই সাংবাদিককে ধমকিয়ে তিনি বলেন, ‘কলেজের গেট কয়টায় খোলা হবে এটা আপনি জিজ্ঞেস করার কে? আপনার কাছে বলব কেন, স্টুপিড কোথাকার।’স্টুপিড’ বলা হয়েছে কি না সিনিয়র এক সাংবাদিক ফোনে জানতে চাইলে ওই সাংবাদিককে তিনি ‘ধুর মিয়া’ বললেন। কলেজ প্রিন্সিপালের এরকম আচরণে সাংবাদিকরা হতভম্ব হয়ে যান।

ঘটনাটি আজ রোববার সকালের। তখন নয়টা বাজে। প্রতিদিনের বাংলাদেশ পত্রিকার কিশোরগঞ্জের ফটো সাংবাদিক সাব্বির হোসেন চামড়া বন্দরে কাজ শেষে করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে দিয়ে মোটর সাইকেলে আসছিলেন। এ সময় দেখেন কলেজের গেট বন্ধ। গেটের সামনে শত শত শিক্ষার্থী সড়কে জটলা হয়ে আছে। এ কারণে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছিল। পরে জানতে পারেন আজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাই এই জটলা। সাব্বির কলেজের অধ্যক্ষকে ফোনে নিজের পরিচয় দিয়ে তাকে স্যার সম্বোধন করে জিজ্ঞেস করলেন, গেট কয়টায় খুলে দেয়া হবে। এতে উত্তেজিত হয়ে সাব্বিরের সাথে এরকম আচরণ করেন তিনি।

বিষয়টি সাব্বির জেলার এক সিনিয়র সাংবাদিককে জানান। তিনি অধ্যক্ষ আজিজ আহমেদ হুমায়ুনকে ফোন দেন। অধ্যক্ষ তখন ওই সাংবাদিককে ‘ধুর মিয়া’ বলে ফোন কেটে দেন। কলেজ অধ্যক্ষের এরকম আচরণে তিনি হতভম্ব হয়ে যান। কলেজ অধ্যক্ষের এই আচরণের ফোন রেকর্ড সাংবাদিকদের কাছে আছে।

এ বিষয়ে সাব্বির হোসেন বলেন, ‘আমি চামড়া বন্দর থেকে কিছু ছবি তুলে জেলা শহরে ফিরছিলাম। গেট বন্ধ থাকায় সড়কে শিক্ষার্থীরা জটলা বেঁধে দাঁড়িয়েছিল। বৃষ্টি আসারও সম্ভাবনা ছিল। ব্যস্ত সড়ক এটি। গাড়ি চলাচলের কারণে দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই কলেজের অধ্যক্ষকে আমি ফোন দিয়েছিলাম। তিনি কিছু না বুঝেই ক্ষিপ্ত হয়ে গেলেন আমার প্রতি। একজন শিক্ষিত মানুষের কাছ থেকে এরকম আচরণ আশা করিনি।’

এ বিষয়ে পরে ফোন করা হলে করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আজিজ আহমেদ হুমায়ুন বলেন, ‘আমি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে কেন এই সময় ফোন দেওয়া হলো? আমাকে এখন আবার প্রশ্ন করতে আসছেন, ধন্যবাদ ফোন রাখেন।

দৈনিক আমার বাংলাদেশ

দৈনিক আমার বাংলাদেশ