হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে কোটাবিরোধীরা

সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বহাল-সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী। আবেদন করার জন্য হলফনামার অনুমতি চেয়ে আজ মঙ্গলবার (৯ জুলাই) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন তারা। আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম হলফনামা করার অনুমতি দেন। তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক।

কোটাবিরোধীদের পক্ষে এই আবেদন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আবেদনকারীরা হলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাবির সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং ঊর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান।

ব্যারিস্টার হারুনুর রশীদ জানিয়েছেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে যে আবেদন করেছে, তা বিচারাধীন। এটি থাকা অবস্থায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আল সাদী ভূঁইয়া ও আহনাফ চেম্বার কোর্টের অনুমতি নিয়ে একটি সিএমপি (হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে) আবেদন করেছে।

 

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা সরকারি আদেশের বিরুদ্ধে রিট করলে তার প্রেক্ষিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি হয় গত ৫ জুন। সেদিন শুনানি শেষে কোটা পুনর্বহাল করতে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ সাইফুজ্জামান জামান। পরে রাষ্ট্রপক্ষ রায়টি স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেম্বার আদালত গত ৯ জুন আবেদনটি শুনানির জন্য ৪ জুলাই নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। ৪ জুলাই হাইকোর্টের রায় স্থগিত করা হয়নি। তবে, রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করতে বলা হয়েছে।

এদিকে, গত ১ জুলাই থেকে কোটাবিরোধী আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। একপর্যায়ে গত রোববার ও সোমবার দেশব্যাপী বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি পালন করেন তারা। গতকাল ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়ে বাংলা ব্লকেড থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা জানান, বুধবার থেকে বড় ধরনের আন্দোলনে যাচ্ছেন তারা। এজন্য মঙ্গলবার সারা দেশের সঙ্গে গণসংযোগ ও সভা করে রাতে পরবর্তী কর্মসূচি জানাবেন।

 

এদিকে আজ আইনমন্ত্রী বলেছেন, এটি আদালতের বিষয়। বাইরে আন্দোলন করে কোনো লাভ হবে না। যদি তারা আইনি পথে হাঁটা শুরু করেন, তাহলে আন্দোলনের কোনো প্রয়োজন নেই। আদালতের বিষয় নিয়ে আদালতে কথা বলতে হবে, রাস্তায় কোনো কথা থাকতে পারে না।

আদালতের কোটাবিরোধীদের আবেদন প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, কোটার ক্ষেত্রে সরকারের সিদ্ধান্তের কোনো বিষয় নেই। এটি সর্বোচ্চ আদালতের (হাইকোর্ট) সিদ্ধান্ত। আন্দোলনকারীরা আদালতে পক্ষভুক্ত হতে চেয়েছেন। আগামীকাল এর শুনানি হবে। তারা সঠিক পথে আছেন।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries