বগুড়ায় ধর্ষণের ঘটনা ধামা চাপা দিতে তামিমকে হত্যা 

শিমুল হাসান , বগুড়া :
বগুড়ার শেরপুরে ধর্ষণের ঘটনা ধামা চাপা দিতেই তামিমকে হত্যা করা হয়েছে। তামিম হত্যাকান্ড নিয়ে শুক্রবার বেলা ১২ টায় বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসান তার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এমনই তথ্য জানান। হত্যার আগে কিশোর তামিমকে (১৪) ধর্ষণ করেছিল এমদাদুল। এই ঘটনা ধামা চাপা দেওয়ার জন্যই তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর বস্তায় ভরে পুকুরে ডুবিয়ে দেওয়া হয়।
মৃত কিশোর তামিম (১৪) উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নের দক্ষিণ আমইন গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে। সে কেল্লাপোষীর আইডিয়াল স্কুল ও কলেজের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। বৃস্পতিবার সকালে একটি পুকুর থেকে তার বস্তা বন্দী লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহতের পরিবার ও পুলিশের তথ্যসূত্রে জানা যায়, কিশোর তামিম বাড়িতে মা আর দাদির সঙ্গে থাকত। বুধবার সকাল ৭টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর না পেয়ে রাত ৮টার দিকে শেরপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার মা সুফিয়া খাতুন। এরপর পুলিশ ও তামিমের পরিবার তাকে খোঁজাখুঁজি করে। এক পর্যায়ে সকাল অনুমান ৮টার সময় দক্ষিণ আমইন গ্রামের মান্নানের পুকুরের পাহাড়াদার এমদাদুল(২২) পুকুর মালিককে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংবাদ দেন যে, পুকুরে একটি পাটের বস্তা ভাসছে। এতে পুকুর মালিক আব্দুল পুকুরের উত্তর পাড়ে এসে ভাসমান চটের বস্তাটি পানি হতে তুলে বস্তার মুখ খুললে মানুষের পাঁ দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলে নিহতের বাবা শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুকুরের মালিক মান্নান ও পাহাড়াদার এমদাদুলকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমদাদ হত্যার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রেস ব্রিফিংয়ের তথ্য অনুযায়ি, গত বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তামিম পুকুর পাড়ে গেলে এমদাদ তামিমকে ধর্ষণ করে। এতে তার মলদ্বার ফেটে যায়। ফলে তামিম কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে এমদাদ দুই হাত দিয়ে তার গলা চেপে ধরে। তবুও তামিম চিৎকার করতে থাকলে এমদাদ তার গলায় রশি পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরবর্তীতে সে তামিমের লাশ বস্তায় ভরে পাশের পুকুরের মাঝখানে নিয়ে ফেলে দেয় এবং প্রতিদিনের ন্যায় স্বাভাবিক কাজকর্ম করতে থাকে।
এ বিষয়ে বগুড়া  শেরপুর থানার ওসি রেজাউল করিম বলেন, এই হত্যা কান্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries