কিশোরগঞ্জে কোটা আন্দোলনে পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের ক্ষতিপুরণের দাবী
আমিনুল হক সাদী :
গত ১৮ জুলাইয়ে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে গিয়েছিল কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরানথানাস্থ কয়েকটি দোকান। সেই অগ্নিকাণ্ডে জীবিকার সম্বল হারিয়েছিলেন ওই মার্কেটের কয়েকজন দোকানদার। অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া ৪টি দোকানের প্রায় অর্ধ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছিলো। পুড়ে যাওয়ার একমাস পরও কোনো ক্ষতিপুরণের টাকা পায়নি এসব ক্ষতিগ্রস্ত দোকানীরা।
পোড়া মার্কেটের দোকানদার আকবর ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের সত্তাধিকারী মো: আকবর হোসেন বলেন, পুরান থানার টিনের দোকানদার উজ্জলের তিনটি দোকান ছিলো এরমধ্যে দেলোয়ারের ফলের দোকান,একটি খাবার হোটেল ও আরেকটি দোকান। এসব দোকানের ৩০ লাখ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছিলো। কাইয়ুমের মালিকানায় আমার ছিলো আকবর ইঞ্জনিয়ারিয় ওয়ার্কসপের একটি দোকান। সেই দোকানটিও সম্পুর্ণ পুড়ে যায়। দোকানের ভেতরে একটি মটর সাইকেল ও ওয়ার্কসপের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি,মেশিন ও মালামালসহ সকল আসবাবপত্র পুড়ে যায়। এতে করে আমার প্রায় ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ২৮ জুলাই ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের আর্থিক সহযোগিতা চেয়ে জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদসহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করেছিলাম। কিন্ত অদ্যবধি কোনো সহযোগিতা পায়নি। এই দোকানটির উপর আমার পরিবার পরিজন নিয়ে একমাত্র চলার অবলম্বন ছিলো। প্রায় একমাস পর দার দেনা করে পুরনো দোকানটি সংস্কার করে চালু করলেও এখনো পুড়ে যাওয়ার দৃশ্যটি চোখে ভেসে ওঠে। সেদিন শহরে যখন তুমূল কোটা আন্দোলন চলছিলো এই অবস্থায় নিরাপত্তার জন্য দোকান তালা মেরে বাসায় চলে যাই। পরে এসে দেখি আমার জীবনের একমাত্র চলার অবলম্বন দোকানটি আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ছে। কিছুই করতে পারিনি। পরে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেওসব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
পুড়ে যাওয়া এসব দোকানীলা কী ক্ষতিপুরণ পাবে, কবে পাবেন, সেটিও জানেন না। নিঃস্ব অবস্থায় দিন কাটছে আকবর হোসেনসহ অন্যন্য পুড়ে যাওয়া ব্যবসায়ীদের।