কলেজ অধ্যক্ষের দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কমিটি গঠন

সাব্বির হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :

কিশোরগঞ্জের তাড়াইল দামিহা উদয়ন কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল মামুন তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে দামিহা উদয়ন কলেজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন, তাড়াইল সেনাবাহিনী ক্যাম্পের কমান্ডার মোহাইমিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এসএম আবু মোতালিব উপস্থিত থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ গুলো শুনে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তৌফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম গোলাম কিবরিয়া সদস্য সচিব ও কলেজের উৎপাদন ও ব্যবস্হাপনা বিভাগের শিক্ষক মাসুদুল আলমকে সদস্য করা হয়েছে।

তদন্ত কমিটি বুধবার (২৮ আগস্ট) থেকে অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, অপকর্ম ও দুর্নীতির বিষয়ে তদন্তের কাজ শুরু করবেন। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করবে বলে উপস্থিত সকলকে আস্বস্ত করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, দামিহা উদয়ন কলেজের অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগ অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবে। কলেজের সমাজ কর্ম বিভাগের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র শিক্ষক মমতাজ বেগম ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করবেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা লেখাপড়ায় মনোযোগী হও। কারণ, তোমাদেরকে মানবিক গুণাবলি নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ও দেশের জন্য কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, গত রবিবার (২৫ অগাস্ট) শিক্ষার্থীরা কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে অধ্যক্ষের অর্থ আত্মসাৎ, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, অপকর্ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন পালন করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘দফা এক দাবি এক, অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলামের পদত্যাগ’ এই স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ। দাবি আদায় না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন ও লাগাতার কর্মসূচি দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই অধ্যক্ষ কলেজ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries