বগুড়ায় যুবদল ও ছাত্রদলের কমিটি গঠনে তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে সবাই

বগুড়া প্রতিনিধি-
বগুড়া জেলা যুবদল এবং ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ন কমিটি বিলুপ্ত করার পর কারা আসছেন আগামী কমিটিতে এ নিয়ে যুবদল এবং ছাত্রদলের নেতৃত্ব প্রত্যাশীরা মুখ খুলছেন না। নেতৃত্ব দেওয়ার ইচ্ছা থাকলেও কেউ তাদের প্রত্যাশার কথা বলছেন না। উভয় সংগঠনের নেতাকর্মীরা মনে করছেন বিএনপির রাজনীতিতে বগুড়া হলো তীর্থ স্থান। বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমান বগুড়া বিএনপির সদস্য। তাদের নির্বাচনী এলাকাও বগুড়া। এ কারণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন নেতাকর্মীরা। নেতা কর্মীরা মনে করছেন যেহেতু কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে না, তাই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের দিকে তাকিয়ে আছেন তারা। বগুড়ার নেতৃবৃন্দ মনে করছেন, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত করার পর বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যারা সংগঠনকে গুছিয়ে নিতে পারবেন তাদের হাতেই যাবে আগামী নেতৃত্ব। উল্লেখ্য যে, গত ৪ আগস্ট প্রথমে বগুড়া জেলা যুবদল এবং পরবর্তীতে জেলা ছাত্রদলের মেয়াদোত্তীর্ন কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করা হয়। জেলা ছাত্রদলের একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন, ২০১৮ সালের জুন মাসে জেলা ছাত্র দলের কমিটি হয়। এই কমিটির মেয়ার ৩ বছর হলেও ৬ বছর কার্যক্রম চালায় এই কমিটি। ৬ বছর দায়িত্বে থাকলেও সরকারি আজিজুল হক কলেজের মত গুরুত্বপূর্ন ইউনিটে গত ১২ বছরে ছাত্র দলের কোন কমিটি ছিলো না। একই অবস্থা সরকারি শাহ সুলতান কলেজে। এই কলেজে ৮ বছর কোন কমিটি নাই। তারপরও ছাত্রদলকে ধরে রেখেছেন কিছু নেতাকর্মী যারা পদ পদবীর প্রত্যাশা না করে সংগঠনকে নার্সিং করে কলেজে কর্মকান্ড চালিয়েছেন। জেলা কমিটি থাকলেও দলের কর্মকান্ডে অনেকেই ছিলো নিবর দর্শকের ভূমিকায়। ২০১৮ সাল থেকে আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র দলের গুটি কতক মুখচেনা নেতৃবৃন্দ ছাড়া কারো সরব উপস্থিতি দেখা যায়নি। জুলাইয়ে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ছাত্র দলের নেতাকর্মীদের সরব উপস্থিতি ছিলো যারা মাঠে ছিলেন তাদের মূল্যায়ন করা হবে আগামী দিনের জন্য। ত্যাগী এবং মাঠের নেতাকর্মীদের নিয়েই গঠন করা হবে আগামী কমিটি। আগামী কমিটিতে থাকতে পারেন বলে যাদের নাম নিয়ে গুঞ্জন উঠেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সন্ধান সরকার, রাঙ্গা,হিরা প্রমুখ। একই ভাবে জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটি গঠনের পর তারা কোন সম্মেলন এবং সব ইউনিটে পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হয়। এ অবস্থায় জেলা কমিটিও বিলুপ্ত করা হয়। আওয়ামীলীগ সরকার বিরোধী আন্দোলনে জেলা যুবদলের প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের রাজপথে দেখতে পায়নি অনেকেই। বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামে যুবদলের নেতাকর্মীদের ভূমিকা থাকে বেশি একারনে আগামী কমিটিতে ত্যাগী ও মাঠের কর্মীরা কমিটি স্থান পাবে বলে বিশ্বাস করেন মাঠের নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ দিন ধরে ত্যাগী কিন্তু বঞ্চিত তাদের মূল্যায় হবে আগামী কমিটিতে এমটি মনে করছেন যুবদলের নেতাকর্মীরা। যুবদলের আগামী কমিটিতে বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে থেকেও কেউ স্থান পেতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।
যাদের নিয়ে কমিটি হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠেছে তাদের মধ্যে রয়েছে বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম, জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সদস্য সচিব আবু হাসান, ছাত্রদলের সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিক রিগ্যান, গোর্কী, এবং মমির মত নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries