কোথাও অস্বাভাবিক কিছু হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর দেশের কোথাও কোনো প্রতিবাদ হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আদালত রায় দিয়েছেন। সে আনুযায়ী আমরা এখন ব্যবস্থা নিচ্ছি। রায় ঘোষণার পর সারাদেশে পরিস্থিতি খুব স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো জায়গায় অস্বাভাবিক কিছু ঘটেনি।’ তিনি জানান, রায়ের পর সবচেয়ে কাছে যে প্রিজন (জেল) ছিল তাকে (খালেদা জিয়া) সেটাতে নেওয়া হয়েছে। ঢাকায় পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়েছে তাকে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে এবং তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন সে হিসেবে তার যা যা প্রয়োজন সে অনুযায়ী তিনি সুবিধা পাবেন। আসাদুজ্জামান খান বলেন, কোথাও কোনো প্রতিবাদ হয়নি। পরিস্থিতি খুব স্বাভাবিক আছে। কেউ যদি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চায়; তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যা করার তা করবে। এরআগে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে খালেদা জিয়ার পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেন তিনি। মামলার অন্য আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাদের সবার ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এই মামলার প্রধান আসামি। এছাড়া মামলায় অন্য আসামিরা হলেন, তার ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। মামলার শুরু থেকেই তারেক রহমান, ড. কামাল সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।