মা-মরার পর এতিম মেয়েকে ধর্ষণ- পিতা আঠক।
আবুল বশর পারভেজ: মহেশখালী (কক্সবাজার) সংবাদ দাতা: মা মরে যাওয়ার পর নিজ জন্মদাতা বাবার হাতে ধর্ষিত হওয়ার অভিযোগে বাবাকে ধৃত করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে ০৫ মার্চ সোমবার, রাত সাড়ে ১১ টায় উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের রাজুয়ারঘানা গ্রামে। কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের রাজুয়ার ঘোনা গ্রামের মোজাফ্ফর আহাম্মদের পুত্র শামসুল আলম(৩৮)একই এলাকার আলী আহাম্মদের মেয়ে ছমুদা বেগমকে বিয়ে করেন। তার সংসারে ২মেয়ে ১ ছেলে সন্তান রয়েছে। বিগত ৮মাস পূর্বে শামশুর স্ত্রী ছমুদা বেগম ডেলিভারী অবস্থায় মৃত্যু হয়। শামসুল আলমের বড মেয়ে দিলদার (১৪) বছর।মা ছমুদা বেগমের মৃত্যুর পূর্বে তার বিয়ে হয় স্থানীয় আবুল কাশেমের পুত্র বেলালের সাথে। মা র মৃত্যু হলে বাবা শামসুল আলম মেয়ে দিলদারকে স্বামীর বাড়ীতে যেতে বাধা নিষেধ করতে থাকে। মেয়ের জামাই বেলালকে স্ত্রীর সাথে ঘর সংসার করতে বিরত রাখে।এ সুযোগে শুরু ঔরশজাদ মেয়ে দিলদারকে ধর্ষণের পালা,মা মরে যাওয়ার সুযোগে নিজের মেয়ে দিলদারকে বাবা তার বাড়ীতে রেখে দেয়,বাবা শামশু মেয়ে দিলদার ও ভাই বোন সহ ককসবাজারের শহরে বেড়াতে নিয়ে গিয়ে রাতে বোডিং এ মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন মিলন করে। ককসবাজার থেকে বাড়ীতে ফিরে এসে মেয়ে বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ও প্রতিবেশী মহিলাদেরেক জানায়, প্রতিবেশী লোকজন বাবাকে ২য় বিয়ের জন্য চাব প্রয়োগ করে। বাবা নানা অযুহাতে বিয়ে থেকে বিরত থাকে। মেয়েকে বুকে চুরি ধরে ভয় দেখিয়ে নিয়মিত ভাবে যৌন নির্যাতন করতে থাকে। নির্যাতিত মেয়ে দিলদার জানায় তাকে কখনো পানের বরজে,কখনো গরুর গোয়াল ঘরে, কখনো বাড়ীতে ধর্ষণ করে, সে আরো জানায় বিগত প্রায় দেড় মাস পূর্বে মেয়ে দিলদারের একটি মেয়ে সন্তান জন্ম হয়। লালন পালন ও ভরন পোষনের অভাবে ঐ মেয়েকে স্থানীয় কেরুনতলীতে দত্তক দেয়। ঘটনারদিন রাতে পূর্বের ন্যায় শারীরিক নির্যাতনে চিৎকার করলে এলাকার লোকজন তাকে ধৃত করে স্থানীয় মেম্বারের কাছে হাজির করে। মহেশখালী থানা সংবাদ পেয়ে ঘটনা স্থল থেকে নির্যাতিত মেয়ে সহ তার বাবাকে থানায় মহেশখালী থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ধর্ষনের শিকার দিলদার পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানায় জন্মদাতা পিতা কর্তৃক ঔরশজাত মেয়েকে ধর্ষনের দায়ে আঠককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন সহ সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হচ্ছে।