বিকাশে ভয়ঙ্কর ডিজিটাল ফাঁদ

মোবাইল ব্যাংকিংও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। বেশ কয়েকটি দেশি-বিদেশি প্রতারকচক্র ভয়ঙ্কর প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। তারা নিত্যনতুন কৌশল উদ্ভাবন করছে। বিকাশের মাধ্যমে এই প্রতারণার ঘটনা ঘটছে সবচেয়ে বেশি।

জানা গেছে, প্রতারণার শিকার হয়েছেন দৈনিক ইন্দোবাংলা বার্তা সম্পাদক মারুফ সরকারকে, মোবাইল নম্বর স্পুফিং কল মাধ্যমে ‘বিকাশ হেল্প লাইনের’ নামে ০১৭৭৫২০১৬৯৭ নম্বর থেকে ফোন করা হয়। বিকাশের প্রধান কার্যালয় থেকে ফোন করা হয়েছে জানিয়ে বিভিন্ন অপশন চাপতে বলা হয়। এভাবে কয়েকটি ধাপ অতিক্রমের পর একটি ফোন নম্বর দিয়ে তা ডায়াল করতে বলা হয়।

অপরদিকে, আজ ১১ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকের এক সাংবাদিকের কাছে ‘বিকাশ হেল্প লাইনের’ নামে একই নম্বর থেকে ফোন করা হয়। একই পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। প্রতারকের ফোন কল বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

এরপর থেকে ওই নম্বরটি আর খোলা পাওয়া যায়নি। দু’জনেরই প্রশ্ন, বাধ্যতামূলকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সবার সিম নিবন্ধন করা হয়েছে। আর নিবন্ধিত সিম ছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ নেই। তাহলে যেসব সিম ব্যবহার করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে, তাদের সিম নিবন্ধনের তথ্য কোথায়? অবিলম্বে এই প্রতারণা বন্ধ চান তারা। আবার আর্থিক লেনদেনের তথ্য হুবহু প্রতারক চক্র কীভাবে জানতে পারছে তা নিয়েও প্রশ্ন তাদের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারকারী অনেকেই প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। প্রতারকরা এমনভাবে ফাঁদ পাতে যে, গ্রাহক কিছু বুঝে ওঠার আগেই অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হয়। প্রতারকচক্রের বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে ওঠে এসেছে। অভিযোগ রয়েছে, মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরদের চাকরিচ্যুত কর্মীদের কেউ কেউ এই প্রতারণার সঙ্গে জড়িত।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries