নিকলীতে ধনু নদীর ভাঙ্গনে মসজিদ সহ ৩০০ পরিবার গৃহহারা
মহিউদ্দিন লিটন
কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ৫ হাজার অধ্যুষিত এলাকার জনগণ ধনু নদীর ভাঙ্গনে কবলিত হয়ে ৩০০ পরিবার গৃহহারা হয়ে অন্যত্র চলে গেছে। সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, এই ইউনিয়নের ৬ ও ৭ নং ওয়ার্ডের অর্ন্তগত জহিরুল ইসলামের বাড়ী সামনের জামে মসজিদটি পিছনের অংশ ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া কূহিনুর মাষ্টারের বাড়ী হতে জহিরুল ইসলামের জামে মসজিদ পর্যন্ত, তুহিন মাষ্টারের থেকে সৈয়দ আলী বাড়ী পর্যন্ত, পাভেল মিয়ার বাড়ী পর্যন্ত, বাদল এর বাড়ী হতে প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত, সুনামউদ্দিন এর বাড়ী সহ প্রায় ১০-১২ টি স্পট নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১০-১২ বছর ধরে ধনু নদীর ভাঙ্গনে কবলিত হয়েছে হাজার হাজার পরিবার। গতকাল রবিবার এই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, গত ২ বছর আগে স্থানীয় এমপি আলহাজ্ব মোঃ আফজাল হোসেন জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন নদী প্রতিরক্ষা বাধঁ নির্মাণ করে সিংপুর ইউনিয়নের গ্রামগুলোকে ভাঙ্গন থেকে রক্ষা করবেন। তিনি বলেন ২ বছর পার হলে ও এখনও পর্যন্ত প্রতিরক্ষা বাধেঁর কোন ব্যবস্থা নেননি স্থানীয় এমপি। এ বিষয়ে নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াইয়া খাঁন যায়যায় দিনকে জানান, নদী ভাঙ্গন কবলিত গ্রাম সিংপুর ৬নং ওয়ার্ড ও ৭ নং ওয়ার্ড এ ভাঙ্গন কবলিত বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এবং একই সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বর্ষার পর মাপজোখ করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন নির্দেশ দিয়েছেন।