নিকলীতে পিতার বন্ধু কর্তক ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষিত
নিকলী প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের নিকলীতে পিতার কথিত বন্ধু ও ৩ সন্তানের জনক মহি উদ্দিন (৪২) কর্তৃক সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩) ধর্ষনের ঘটনা ঘটেছে। ধর্ষক মহি উদ্দিন উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের প্রভাবশালি মিয়া হোসেনর পুত্র ।
ধর্ষিতার পরিবার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার নিকলী উপজেলার দামপাড়া কেএমইউ উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টায় মির্জাপুর গ্রামের ৭ম শ্রেণি পড়–য়া এক ছাত্রীর বাবা ভোট দিতে বিদ্যালয়ে যান। ছাত্রীটির মা তার ভাইবৌ এর প্রসবজনিত কারণে কিশোরগঞ্জ সদরে অবস্থান করেন। সুযোগে পিতার কথিত বন্ধু একই গ্রামের প্রভাবশালি মহি উদ্দিন ঐ ছাত্রীর বসত বাড়ি লাগোয়া গরু শূণ্য গোয়ালঘর দেখতে যায়। ছাত্রীটিকে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষন করে। ছাত্রীর চিৎকারে এলাকাবাসি দৌড়ে এলে ধর্ষক মহি উদ্দিন পালিয়ে যায়। ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় এলাকাবাসি। ধর্ষক মহি উদ্দিন প্রভাবশালি পরিবারের সদস্য হওয়ায় একটি চক্র ছাত্রীটিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে দেয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসি জানান, মহি উদ্দিন ও তার ভাইয়েরা এমন একাধিক ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রভাবশালি হওয়ায় বরাবরই তারা ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে আসছে।
ধর্ষিতার পরিবার জানায়, আমাদের মেয়ের জীবনটা নষ্ট করে দিয়েছে মহি উদ্দিন। আমরা এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
মামলা কেন করা হয়নি জানতে চাইলে তারা জানান, একটি মহল বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন। আজ (বৃহষ্পতিবার) দুপুরে ৩টি ইউনিয়নের লোক শালিসে বসার কথা। তাঁদের প্রতি বিশ্বাস রেখে অপেক্ষা করছি।
নিকলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো.নাসির উদ্দিন ভ’ইয়া জানান, এই মর্মে কোন সংবাদ বা অভিযোগ পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।