ভৈরবে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় ধর্ষণকারী গ্রেফতার
এম.এ হালিম
ভৈরবে গৃহবধূকে ধর্ষণের মামলায় ধর্ষণকারী রমজান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ । গ্রেফতারকৃতকে আজ সোমবার কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ ।
মামলার এজাহার,পুলিশ ও ধর্ষিতার পরিবার সূত্রে জানাযায় গত ৪ বছর পূর্বে পৌর শহরের পলতাকান্দা এলাকার মমিন সরকারের পূত্র সুমনের সাথে একই উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ছনছাড়া গ্রামের মোশারফের মেয়ে মিতুর সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ।
জানাযায় ধর্ষিতার স্বামী সুমন মিয়া একটি বেসরকারী ব্যাংকে কেয়ার টেকারের চাকুরী করতো । চাকুরীর সুবাদে প্রায়ই সে রাত্রীকালীন দায়িত্ব পালনে ব্যাংকে থাকতে হতো আর এ সুবাদে গত ৩/ ৪ মাস যাবত সুমনের স্ত্রী মিতু বেগম এর সাথে একই এলাকার পাশের বাড়ীর মৃতঃ হাজী আবুল কাসেমের পূত্র রমজান মিয়ার পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে উঠে । পরে ধর্ষণকারী রমজান মিয়া তাকে ফুসলিয়ে কৌশলে তার বসতঘরে গিয়ে ধর্ষণ করতো । এ অবস্থায় ধর্ষিতা ৩ মাসের প্রেগনেট হয়ে পড়ে । বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ধর্ষণকারী পরকীয়ার সম্পর্ক অস্বীকার করে তড়িঘড়ি করে পাশর্^বর্তী উপজেলা আশুগঞ্জে ২য় বিয়ে করেন । বিয়ের খবর এলাকায় জানাজানি হলে এলাকাবাসিরা ধর্ষণকারীকে চাপ দিলে সে গোপনে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে রাজধানী ঢাকায় আশ্রয় নেয় । পরে রোববার রাতে ধর্ষণকারী গোপনে এলাকায় ফিরে এলে এলাকাবাসিরা তাকে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করেন । এলাকাবাসিরা আরো জানায় ধর্ষণকারী এর আগেও শহরের কমলপুর এলাকার আমলাপাড়া গ্রামে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় । পরে তাদের মধ্যে সম্পর্ক বিছিন্ন হয় । এছাড়া ধর্ষণকারী রমজান বাংলাদেশী বংশদ্ভোত হলেও তার মা-বাবা দীর্ঘ ৩০/৩২ বছর পূর্বে বাংলাদেশ ছেড়ে পাকিস্তানে চলে যায় । সেখানে রমজানের জন্ম হয় । কিন্ত পাকিস্তানে তার বাবা মারা যাওয়ার পর মাঝে মাঝে তার মা জোসনা বেগম তাকে নিয়ে বাংলাদেশে নানার বাড়ীতে বেড়াতে আসতো । কিন্ত গত ১ বছর যাবৎ তার মা তাকে ও তার ১ ভাইকে নিয়ে তার নানার বাড়ীতে এসে বসবাস শুরু করে ।
তবে রমজান ২ টি বিয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, মিতুর সাথে তার সম্পর্ক থাকলেও ধর্ষণের কথা অস্বীকার করেছেন । এছাড়া সে নিজেকে বাংলাদেশী নাগরিক বলেও দাবী করেন । সে আরো জানায় পাকিস্তান সরকারের অনুমতি নিয়ে সে বাংলাদেশে এসে ঢাকায় একটি ক্লাবে জুডো কারাডি প্রশিক্ষণ কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার ওসি মোঃ মোখলেছুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষিতা মিতু বেগম বাদী হয়ে রমজানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছে । এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।