কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিয়ে কৌতূহল

কাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে মনোনয়ন ফরমটি কিনেছেন তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী তোফাজ্জল হোসেন। সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এই আসনের টানা চার বারের সংসদ সদস্য।

এদিকে এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম ও প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের মেজো ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন। তাদের মধ্যে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের পক্ষে সাবেক ছাত্রনেতা জহির মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। এ ছাড়া রাসেল আহমেদ তুহিন নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম অসুস্থ হয়ে বিদেশে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত ১৮ই সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যগত কারণে সংসদের কার্যক্রম থেকে তিনি ৯০ কার্যদিবসের জন্য ছুটি নেন।

গত ৪ঠা নভেম্বর কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম তাঁর বক্তৃতায় জানান, “সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম গুরুতর অসুস্থ। তিনি ফুসফুসের ক্যানসারে ভুগছেন। পরিবারের সদস্যসহ কাউকে চিনতে পারছেন না, এমনকি নিজের মেয়েকেও না।

তবে সৈয়দ পরিবারের পক্ষে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের অসুস্থতা নিয়ে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলামের দেয়া বক্তব্যকে অসত্য বলে দাবি করেন সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আরেক সহোদর ড. সৈয়দ শরীফুল ইসলাম এবং চাচাতো ভাই অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু। তারা এই আসন থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলামই নির্বাচন করবেন বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অন্যদিকে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ কয়েকমাস ধরে সরকারের ‘উন্নয়ন’ এবং নৌকায় ভোট চেয়ে লাগাতার সভা-সমাবেশ করে আসছেন প্রেসিডেন্টপুত্র রাসেল আহমেদ তুহিন। গত ২৮শে সেপ্টেম্বর শহরের পুরাতন স্টেডিয়ামে জনসভার মাধ্যমে বড় ধরনের শোডাউনও করেন তিনি। ওই শোডাউনকে অনেকেই এ আসনে আগামী নির্বাচনে প্রেসিডেন্টপুত্র রাসেল আহমেদ তুহিনের প্রার্থী হওয়ার ইঙ্গিতই মনে করেন। কিন্তু রাসেল আহমেদ তুহিন তার প্রার্থী হওয়ার ব্যাপারে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দেননি। তবে তার সমর্থকদের মাঝে রাসেল আহমেদ তুহিনের আওয়ামী লীগের মনোনয়নে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি আলোচনায় ছিল।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কেনার বিষয়টি নিশ্চিত করে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে সৈয়দ নাফিছ নজরুল রাইয়ান তার চাচা সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবং আমার জন্য দুইটি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে। বড় ভাই (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম) এর সঙ্গে মনোনয়ন প্রতিযোগিতায় যাওয়ার মতো দুঃসাহস আমার নেই। তিনি অসুস্থ বলে আমি দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। কেননা শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁর না আসার সম্ভাবনাই বেশি।’

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries