কুঁড়িঘাট বধ্যভূমিতে ময়লা আবর্জনার স্তুপ, যেন গণশৌচাগার

হোসেনপুরে ঐতিহাসিক কুঁড়িঘাট বধ্যভূমি ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। জনসাধারণের প্রস্রাব ও প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। শত শহীদদের রক্তেভেজা স্থানটির এমন করুণদশায় হতাশা ও ােভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ স্বজনেরা। ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে কুঁড়িঘাট এলাকায় রাজাকারদের সহায়তায় পাক হানাদার বাহিনী উপজেলা সদরের শতাধিক হিন্দু ও মুসলিম নারী-পুরুষকে একসঙ্গে হত্যা করা হয়। সেই ভয়াল রাতের গণহত্যার বর্বরতা আজও স্বজনহারা মানুষের হৃদয়ে নাড়া দেয়। ২০০৮ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলেখা রানী বসু কুঁড়িঘাট বধ্যভূমিতে নিহতদের স্মরণে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এর পাশে নির্মাণাধীন রয়েছে ১৯৭১ সালের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিসৌধ। কিন্তু পবিত্র এই স্থানটি রণাবেণের অভাবে প্রস্রাবখানা ও ময়লা আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়েছে। সাবেক প্রধান শিক সন্তোষ চন্দ্র মোদক জানান, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পেরিয়ে গেলেও অদ্যবধি নিহতদের নামের তালিকা প্রণয়ন করা হয়নি। তিনি আরো জানান, স্থানীয় ব্যবসায়ী ভবেশ চন্দ্র সরকারের গর্ভবর্তী স্ত্রী বকুল রানী সরকারকে হানাদার বাহিনীরা গুলি করে পার্শ্ববর্তী নদীতে ফেলে দেয়। অল্পের জন্য তিনি বেঁচে গিয়ে পরবর্তীতে একজন প্রতিবন্ধী কন্যা সন্তান জন্ম দেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এম এ সালাম জানান, কুঁড়িঘাট বধ্যভূমিতে ময়লা আবর্জনার স্তুপ বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিজয়ের মাসে এটি সংস্কার করা খুবই জরুরী। উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি মো. আক্তার হোসেন দুলাল জানান, এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কয়েকবার জানানো হলেও পদপে নেয়া হয়নি।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries