যেসব কারণে কিশোরগঞ্জে ২১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোননয়নপত্র বাছাইয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি আসনের মোট ৫৫জন প্রার্থীর মধ্যে মোট ২১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী। এছাড়া মোট ৩৪ জনকে বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন তিনি। রোববার (২ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কে মনোনয়নপত্র বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে বিএনপি মনোনীত দুই প্রার্থী অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শরীফ ও খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মুহ. আবদুর রহমান এডভোকেট এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ প্রার্থী মোহাম্মদ ইউসুফ এই পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তাঁদের মধ্যে অ্যাডভোকেট শরীফুল ইসলাম শরীফ কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। কিন্তু তিনি মনোনয়নপত্রের সাথে পদত্যাগপত্র দাখিল করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার।। খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান মনোনয়নপত্রে রিটার্ন দাখিল করেননি। এছাড়া ফরম-২১ অপূরণকৃত ও স্বারবিহীন, হলফনামায় শিাগত যোগ্যতা উল্লেখ নেই। এসব কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মো. মোস্তাইন বিল্লাহ এর মনোনয়নপত্রে আয়করদাতা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু রিটার্নের কপি দাখিল করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মুহ. আবদুর রহমান এডভোকেট এর মনোনয়নপত্রে অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসের বিবরণী ফরম-২০ এ স্বার না থাকায় মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মোহাম্মদ ইউসুফ এর মনোনয়নপত্রে ফরম-২০ এ স্বার না থাকা এবং ফরম-২১ অপূরণকৃত ও স্বারবিহীন থাকায় মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী-পাকুন্দিয়া) আসনে সর্বোচ্চ সাত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তাঁরা হলেন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী নূরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রার্থী এরশাদ হোসাইন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মো. লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) প্রার্থী মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. সালাউদ্দিন রুবেল এবং স্বতন্ত্র মো. আনিসুজ্জামান খোকন। তাঁদের মধ্যে মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন খেলাপী ঋণের জামিনদার হিসেবে ঋণখেলাপী হওয়ায় তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন এর সহোদর মো. আনিসুজ্জামান খোকন এর মনোনয়নপত্রে আয়করদাতা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু রিটার্নের কপি দাখিল করেননি। এছাড়া হলফনামায় স্বার নেই। এই কারণে মো. আনিসুজ্জামান খোকন এর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। নূরুল ইসলাম হলফনামায় স্বার করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। এরশাদ হোসাইন মনোনয়নপত্রে শিাগত যোগ্যতা এমএ উল্রেখ করেছেন। কিন্তু সনদ দাখিল করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মো. লুৎফুর রহমান ফরম-২০ ও ২১ সংযুক্ত করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মো. সালাউদ্দিন রুবেল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলখেলাপি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম মনোনয়নপত্রে শিাগত যোগ্যতা বিএ পাশ উল্রেখ করেছেন। কিন্তু সনদ দাখিল করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে বিএনপি প্রার্থী সাইফুল ইসলাম সুমন, সিপিবি প্রার্থী ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ এবং তিন স্বতন্ত্র ড. মিজানুল হক, অধ্য মো. আম্মান খান ও মো. মনিরুজ্জামান নয়ন এই পাঁচ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। তাঁদের মধ্যে ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ এর মনোনয়নপত্রের ফরম-২০ এ স্বার না থাকায় তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। সাইফুল ইসলাম সুমন এর মনোনয়নপত্রে ফরম-২১ পূরণকৃত ও স্বারিত নয়। এছাড়া তিনি শিাগত যোগ্যতার সনদ দাখিল করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মো. আম্মান খান মনোনয়নপত্রের তৃতীয় অংশ পূরণ করেননি। ফরম-২১ স্বারবিহীন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১% ভোটারের সঠিক তালিকা নাই। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। ড. মিজানুল হক এর মনোনয়নপত্রে দলীয় প্রার্থী উল্লেখ করলেও দলীয় মনোনয়নের কপি সংযুক্ত নেই। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। মো. মনিরুজ্জামান নয়ন এর মনোনয়নপত্রে ১ম খ-ে তৃতীয় অংশ পূরণ করা হয়নি ও স্বার করা হয়নি। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১% ভোটারের সঠিক তালিকা দাখিল করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের মোট ৫ প্রার্থীর মধ্যে বিএনপি প্রার্থী সুরঞ্জন ঘোষের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। সুরঞ্জন ঘোষ ফরম-২০ ও ফরম-২১ পূরণ করেননি এবং স্বারও করেননি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনের মোট ১০ প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) প্রার্থী সেলিনা সুলতানার মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। সেলিনা সুলতানার হলফনামায় নোটারি পাবলিক/ম্যাজিস্ট্রেটের স্বার নেই। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মোহাম্মদ মুছা খান ও স্বতন্ত্র এডভোকেট মোহাম্মদ আয়ুব হুসেন এই দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। মোহাম্মদ মুছা খান নরসিংদী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এ বিলখেলাপি। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার। এডভোকেট মোহাম্মদ আয়ুব হুসেন এর হলফনামায় নোটারি পাবলিকের স্বার নেই। এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১% ভোটারের স্বারযুক্ত তালিকা সঠিক নয়। এই কারণে তাঁর মনোনয়নপত্রটি বাতিল করেন রিটার্নিং অফিসার।

editor

Lorem Ipsum is simply dummy text of the printing and typesetting industry. Lorem Ipsum has been the industry's standard dummy text ever since the 1500s, when an unknown printer took a galley of type and scrambled it to make a type specimen book. It has survived not only five centuries